ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পলোগ্রাউন্ডে জনতার ঢল

কেউ এসেছেন সাগর পাড়ি দিয়ে সন্দ্বীপ থেকে, কেউ এসেছেন বাঁশখালী থেকে ট্রাকে চেপে। ঢোল-তবলা বাজিয়ে গান গেয়ে গেয়ে মিছিল নিয়ে দলে দলে সবাই ছুটছেন চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের দিকে। এই মাঠেই যে এক দশক পর আজ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে একনজর দেখতে আজ তাই চট্টগ্রামের সব পথ মিলেছে পলোগ্রাউন্ডে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ পলোগ্রাউন্ডে ভাষণ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর তিনি আজ রোববার বিকেল ৩টায় সেখানে ভাষণ দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যেও উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করেছে।

নগরীর সিআরবি, পুরোনো রেলস্টেশন, টাইগারপাস দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভা প্রাঙ্গণে ঢুকছেন নেতা-কর্মীরা। একেক শাখা থেকে একেক রকম টি-শার্ট আর টুপি পরে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকছেন তারা।

ইতোমধ্যে জনসভা শুরু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। তার আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জনসভা মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে একদিন আগেই চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান বঙ্গোপসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মী। শনিবার বিকেল ৪টায় নেতাকর্মীদের নৌবহরটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসে ৫টায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে পৌঁছায়। পরে তারা রাতে বিভিন্ন হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান করেন। এরপর আজ সকালেই তারা দলে দলে যোগ দেন জনসভাস্থলে।

সন্দ্বীপ থেকে আসা কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, তারা শনিবার দুপুর থেকে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা হতে ৪০টি ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও মোটরসাইকেলে গুপ্তছড়া ঘাটে আসতে শুরু করেন। পরে সেখান থেকে বিকেল ৪টায় ২৫টি বোট ও স্পিডবোটে নেতা-কর্মীরা সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছান।

>>>  এপ্রিলে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জনসভার আয়োজকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী আজ তার ভাষণে নেতা-কর্মীদের আগামীর দিশা দেবেন। তিনি আসন্ন নির্বাচন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সিআরবি ইস্যু, মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিতে পারেন। পাশাপাশি তিনি ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আরও চারটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পগুলোর হাত ধরে চট্টগ্রাম আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা সবার।

শীর্ষ নেতারা বলছেন, জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাঠের বাইরের আশপাশের এলাকার মানুষ যেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পান সেজন্য সাতটি বড় এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। জনসভার জন্য ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকার আদলে নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কয়েক স্তরে ভাগ করা হয়েছে জনসভা মাঠকে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনসভাস্থল ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া নগরীজুড়ে লাগানো হয়েছে ৩০০ মাইক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :