ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা নেবে

বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার পরও নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড় বিএনপি। কিন্তু সরকার চাইছে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করুক। এ ক্ষেত্রে সমাধান কী- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার সুবিধার কথা ভেবেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। তারা যেই সমাবেশ করার কথা বলেছে, ১০ লাখ মানুষ জড়ো হবে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ মানুষ ধরার জায়গা নেই। কিন্তু ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তারা যে ধরনের সমাবেশ করতে চায় সেক্ষেত্রে পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলার মাঠ ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।’

‘তারপরও সরকার সৎ উদ্দেশ্যে তাদের সমাবেশ করার সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। কারণ নয়াপল্টনের সামনে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হতে পারবে। কিন্তু তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হয়ে উঠেছে। এই দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যেও জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। এ সব দলের নেতারা আফগানিস্তানের তালেবানের মতাদর্শ বিশ্বাস ও লালন করে। তারা দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।’

‘জঙ্গিদের যখন গ্রেফতার করা হয়, যখন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এভাবে বিএনপির কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার সঙ্গে বিএনপি অপতৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা’, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

>>>  ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট

মহাসমাবেশ বানচাল করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার আজগুবি মামলা দিচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন, তারা যাতে সমাবেশ নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বরের বদলে ৬ ডিসেম্বর করেছেন। ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এরপর সেই মঞ্চ-প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলা হবে বিএনপি যাতে সময় নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ বানাতে পারে। যে কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ হলেও এগিয়ে আনা সহজ না। কারণ এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা থাকে। কিন্তু আমরা সেই কাজটি করেছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :