বিএনপির ডাকা তিন দিনব্যাপী অবরোধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থান নিতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

অবরোধ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন নেতাকর্মীরা৷ তার ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নেতৃত্বে কয়েক শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে একটি অবরোধ বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার ঘুরে বাংলাবাজার ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে শেষ হয়৷ এসময় অবরোধ বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এর পূর্বে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা৷ বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে তাদের উপস্থিতি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, বিএনপির ডাকা অবৈধ অবরোধ জনগণ প্রত্যাখান করেছে। সকাল থেকেই যানবাহন চলছে,মানুষ অফিসে যাচ্ছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছি৷ অবরোধ বিরোধী মিছিল করেছি৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা পুরান ঢাকার অলি গলিতে যদি অবরোধের নামে কেউ নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা কঠোর হাতে সেটা দমন করব।

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন,বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় আপোষহীন। আমরা দেখেছি গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সমাবেশের নামে কিভাবে নির্বিচারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে,পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে ও বাসে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনজীবন বিধ্বস্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বরাবরই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। পলাতক ও দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়ার নেতৃত্বাধীন দল বিএনপির অবৈধ অবরোধ বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াত ও শিবিরকে প্রতিহত করতে এবং দাঁতভাঙা জবাব দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত আছে। সেজন্য আজ সকাল থেকেই অবরোধ প্রতিরোধে আমাদের সক্রিয় অবস্থান ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকায়।