সংগঠন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাত জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে হাবিবুর রহমান জয় (সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ শাখা, জুড়ী, মৌলভীবাজার জেলা), সাইদুল ইসলাম (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জায়ফরনগর ইউনিয়ন শাখা, জুড়ী উপজেলা, মৌলভীবাজার জেলা), হুমায়ুন রশীদ (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জুড়ী উপজেলা শাখা, মৌলভীবাজার জেলা), আসরাফ উদ্দিন (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জুড়ী উপজেলা শাখা, মৌলভীবাজার জেলা), আলিম উদ্দিন (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জুড়ী উপজেলা শাখা, মৌলভীবাজার জেলা), মামুন আহমদ (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জুড়ী উপজেলা শাখা, মৌলভীবাজার জেলা) এবং হৃদয় আহমদকে (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জুড়ী উপজেলা শাখা, মৌলভীবাজার জেলা) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হল।’
স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, পূর্ববিরোধের জেরে গত ৭ জুন উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজারের চৌমোহনা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়ার অনুসারী নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়ে থাকেন। এই সময় সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশায় ভাঙচুর চালানো হয়ে থাকে। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রায় আধা ঘণ্টা জুড়ী-লাঠিটিলা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এদিকে ১১ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুই পক্ষের বিরোধ মিটমাটে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতা ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র তিন দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।






