ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছেন কারা

প্রায় পাঁচ বছর পর হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এ সম্মেলন। এ আয়োজন সফল করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ছাত্র সংগঠনটির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি। এদিকে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দক্ষ, মেধাবী, ক্লিন ইমেজ ও আওয়ামী পরিবারের সন্তানরা গুরুত্ব পাবেন বলে জানা গেছে। চমক থাকতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাশাপাশি সম্মেলনস্থল থেকেই ঘোষণা করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নতুন নেতাদের নাম। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে।

সম্মেলনে প্রার্থীদের একটি ছোট চূড়ান্ত তালিকা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা উপস্থিত থাকলেও কোনো বৈঠক হয়নি।

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ পেতে প্রার্থিতার ফরম জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদপ্রত্যাশী রয়েছেন ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জমা পড়া ফরমগুলো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফরমে উল্লেখ করা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে ছাত্রলীগের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে। তার পরামর্শেই চূড়ান্ত হবে নতুন নেতৃত্ব।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ২৭ বছর। বিগত তিন কমিটির সম্মেলনে প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়। এবার কত বছর সীমা থাকবে, তা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে এবার আরও এক বছর ছাড় মিলতে পারে।

>>>  ওই কুলাঙ্গারকে বিদেশ থেকে এনে বিচার করব: শেখ হাসিনা

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ওই বছরের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নানা অভিযোগে এক বছর পরই পদচ্যুত করা হয় শোভন-রাব্বানীকে। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের ভারমুক্ত করা হয়। সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মেয়াদ দুই বছর হলেও জয়-লেখক তিন বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্বে রয়েছেন।

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকাগুলোতে রাস্তা বন্ধ, রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-রমনা বিভাগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :