নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক স্লোগান
২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল হওয়ার পর, নতুনভাবে আবারও এই ইস্যু সামনে আসে ৬ জুন, ২০২৪। তিনদিন পর এটির প্রথম ধাপ শেষ হলেও, ১ লাগে জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ২য় ধফার আন্দোলন। এ আন্দোলন কে সামনে নিয়ে আসেন ছয়’জন সমন্বয়ক। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা হয়। ফলে আন্দোলনের পিছনে ইন্ধন দাতা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় তৃতীয় পক্ষের শক্তি, যারা নিয়মিত অর্থের যোগান দিতে আরম্ভ করে।
মহামান্য হাইকোর্ট কোটা সংস্কার করে রায় ঘোষণা করলেও আন্দোলনকারীরা থামায়নি তাদের আন্দোলন। নিত্য নৈমিত্তিক তারা নতুন নতুন দফা ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলন কে ভিন্ন দিকে মোড় দিতে শুরু করে। যা গতকাল তাদের ঘোষিত কর্মসূচির মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা যায়। তাদের একদফা বলতে বুঝিয়েছে বর্তমান সরকার এর পতন! অথচ, ইতোমধ্যে সরকার তাদের সকল দাবী-দাওয়া পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলেও তারা রাজি হয়নি। কারণ একটা-ই। তারা এখন তৃতীয় পক্ষের হাতের পুতুল। বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তারা বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পুতুল বনে গিয়েছে। তার প্রমাণ মিললো সমন্বয়ক সারজিস আলমের বাসা থেকে।
রাতে সারজিস এর বাসা তল্লাশি করে নগদ দুই কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব-১০। কোথা থেকে এলো এতো টাকা? তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। কেউ কেউ বলছে বিএনপি-জামাতের মাধ্যমে এসেছে, আবার কারো-কারো ধারণা বিদেশি কোনো শক্তির হাত ধরে এসেছে এই টাকা! টাকা যেখান থেকেই আসুক, তাদের আন্দোলন যে এখন তৃতীয় পক্ষের হাতে সে বিষয়ে এখন সকলেই ওয়াকিবহাল। উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে ই ফেসবুকের লাল প্রোফাইল গুলো বিবর্ণ হতে শুরু করেছে । তাদের এই এক দফা কর্মসূচি ঘোষণার ফলে-ই এমন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসেছিলো কোটা সংস্কার করতে নিহতদের বিচার চাইতে, কিন্তু তারা সরকার পতন করতে আসে নি। তাই তারা (সাধারণ শিক্ষার্থী) সরে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে ছয়’সমন্বয়ক এর আরও টাকার যোগান এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে লন্ডন থেকে। তাই তারা একদফা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে বলে জানিয়েছে। এদিকে সিলেট-চট্টগ্রামেও একদফা’র আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, কিন্তু বেশিক্ষণ তা স্থায়ী হতে পারেনি।
নিউজ ডেস্ক, স্লোগান
গ্রীন সাতমহল, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
