ডলারের সংষ্কার, আনোয়ার সজীব

আমরা তো ভাই ভালোই আছি
চলছে সংষ্কার
নাদুসনুদুস দেহ খানা
লাগছে চমৎকার।
বত্রিশ এর জামার সাইজ
বিয়াল্লিশে এখন
ভুঁড়ি খানা বেশ হয়েছে
খাচ্ছি দুধ আর মাখন।

তো মশাই কি কি হলো সংষ্কার?
-ঐযে বললাম, চলছে সংষ্কার!

আমরা এখন হিসেব কষি
বিলিয়ন ডলারে
কোটি টাকার হিসেব এখন
হয় কি এ বাজারে?
শেয়ার বাজার, গরম খাবার
গাপুসগুপুস খেয়ে
সাতশো কোটি বইয়ের টাকা
খেলাম চিবিয়ে।

বোয়িং বিমান, ফায়ার কামান
কিনবো কিছু আরও
তিন বিলিয়ন ভাগ চেয়েছি
পাবো কিছু তারও।
চাকরি নিয়োগ, বদলি বিয়োগ
মাগনা কি আর করি
মিলিয়নের ভাগ পেলেই
তদবিরে কাজ ধরি।

তো, তাতে দেশের কী লাভ হলো?
-সেই কাহিনি জানতে হলে, নতুন দেশে চলো।

জুলাই জুলাই ডাক পাড়ি
জুলাই আমার মামার বাড়ি
শ্বশুর বাড়ি ও বটে
জুলাই কিনে আনছি কেবল
বেচবো বলে হাটে।
খাইতে জুলাই, শুইতে জুলাই
ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে জুলাই
জুলাই মোদের মোয়া
ট্রাংকে তুলে রাখবো জুলাই
যায় না যেন খোয়া।

তো, আগস্ট কি আর আসবে না?
-ছত্রিশ নং দিয়ে হলো জুলাই এর সূচনা!

ছত্রিশ জুলাই, সাইত্রিশ জুলাই
পয়তাল্লিশ হাজার জুলাই
জুলাই অযুত নিযুত,
কিসের আগস্ট, কি সেপ্টেম্বর
জুলাই কেবল নিখুঁত।

আর কি কি সংষ্কার হতে পারে?
-ঐ যে, জুলাই কেবল লাড়ে-চাড়ে!

বাংলাদেশের মানচিত্র টা
বেশ খানিকটা বাঁকা
কিছু অংশ কেটে দেবো
সোজা হবে আঁকা।
বাড়তি অংশ বেঁচে দেবো
ডলার বাবুর দেশে
ইস্ট-ইন্ডিয়া ফিরবে আবার
নতুন বাংলাদেশে।

কিসের চুলের টাকার কাগজ
চাই পেপারের ডলার
জলপাই ও বিক্রি যে হয়
তার এমনই পাওয়ার।
ডলার মানে দেশের মাথায়
টুপি এক চমৎকার
জুলাই মানেই ডলার, আর-
ডলারে-ই সংষ্কার!