ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

আজ (১৮জুলাই) মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা জড়িতদের কিছু নাম পেয়েছি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। গলার মধ্যে ব্যাজ ধারণ করে যারা এই হামলা করেছে তাদের মোটিভ কী ছিল তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এক দলের ব্যাজ ধারণ করা লোকগুলো তৃতীয় কোনো পক্ষের ছিল কি না সেসব আমরা জানার চেষ্টা করছি। 

হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা নিবৃত করেছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরাই। যদি এখানে পুলিশের গাফিলতি থাকে তদন্ত করে দেখা হবে।

হিরো আলম নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।

সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে বিকেল তিনটার দিকের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এই সময় তার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’ দাবি করে তিনি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। 

উপনির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত বিজয়ী হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হিরো আলম।  

এই আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।