খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আবারো চড়া। কাঁচা মরিচের দাম এখনো খুচরা পর্যায়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। কাঁচা মরিচের বদলে এখন ক্রেতারা ঝুঁকছেন শুকনা মরিচের প্রতি। তাতেই বাজারে শুকনা মরিচের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এমনিতে শুকনা মরিচের দাম খুব বেশি ওঠানামা না করলেও গত এক মাসে কাঁচা মরিচের দামের প্রভাবে শুকনা মরিচের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়ে গেছে।
রাজধানীর খুচরা এবং পাইকারি মরিচ বিক্রেতাদের সাথে গতকাল শনিবার কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকে। এই জন্য এই সময়ে শুকনা মরিচের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমার পাশাপাশি দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক। তাতে বাজারে শুকনা মরিচের দামও বেড়ে গেছে। বর্তমানে আমদানি করা শুকনা মরিচ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। দেশি শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে এক মাসের কম সময় ধরে। এই সময়েই বাজারে দেশি শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে বেশি বেড়েছে আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম। এই মরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক মাস আগেও আমদানি করা শুকনা মরিচের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা করে ।
রাজধানীর শাহজাহানপুর বাজারের ফেনী জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী আজহার উদ্দিন বলেন, শুকনা মরিচের নানা পদ আছে। এর মধ্যে আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে বেশি। দেশি শুকনা মরিচের দাম সেই তুলনায় কম বেড়েছে। দাম বাড়লেও শুকনা মরিচের বেচাবিক্রিও বেড়েছে।
রাজধানীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার কাওরান বাজারের রব স্টোরের বিক্রেতা নাইম হাসানও একই কথা জানিয়েছেন।তিনি বলেন, এখন আমদানি করা প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা করে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, গত বছরের এই সময়ে বাজারে দেশি শুকনা মরিচের কেজি ছিল ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে। টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে বাজারে দেশি শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। আর আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
শুকনা মরিচের দাম আগে বাড়লেও বর্তমানে বাজারে বড় কোনো অস্থিরতা নেই বলে জানিয়েছেন রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল মাজেদ। তিনি দৈনিক স্লোগানকে বলেন, পাইকারি বাজারে শুকনা মরিচের সরবরাহে তেমন কোনো ঘাটতি নেই। তাই বাজারে বড় কোনো অস্থিরতা তৈরি হওয়ারও আশঙ্কা নেই।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শনিবার প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে। আর আমদানি করা কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে। চলতি মাসের শুরুতে কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। দেশি কাঁচা মরিচের সংকটে আমদানি করা হলেও বাজার এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি।







