
যুক্তরাজ্যে এর ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় এসেছেন। তিন দিনের সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এই সফরে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী নাগরিক সমাজ, মানবিক সহায়তাদানে যুক্ত ব্যক্তি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করবেন। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়টি তাঁর এ সফরে গুরুত্ব পাবে।
খসড়া সূচি অনুযায়ী, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়-শিবির পরিদর্শনে করবেন যুক্তরাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ানের সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সরাসরি চীন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ব্রিটেনের স্বার্থ–সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখভাল করেন। তা ছাড়া, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিশেষত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক কূটনীতি, প্রযুক্তির বিস্তার ও ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষেণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনি।
এসবের চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এ অঞ্চলে ব্রিটেনের স্বার্থে আঘাত বা প্রতিবন্ধকতায় নিষেধাজ্ঞার মতো বিরক্তিকর ইস্যুতে কনজারভেটিভ পার্টি ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অ্যান-মারির মূল্যায়নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
ব্রিটিশ নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়ার আগে অ্যান মারি ব্রিটেনের যোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব