বিশ্বস্ত ও পুরাতন কর্মী মোদিকে দেড় হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন মুকেশ আম্বানি। এই মোদি হলেন রিলায়েন্স জিও ও রিটেলের পরিচালক মনোজ মোদি। ভারতের ধনীতম শিল্পপতির ডান হাত বলা হয় তাকে। মুকেশের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। তার চেয়ে বড় কথা, অনেকের ধারণা গত কয়েক দশকে রিলায়েন্স গ্রুপের আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে মনোজের ধারালো মগজ। এবার হাত খুলে সেই কর্মীকে পুরস্কার দিয়েছেন সংস্থার কর্তা।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কর্মী মনোজের কাজে খুশি হয়ে তাকে একটি ২২ তলা বিলাসবহুল প্রাসাদ উপহার দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। তাও আবার নেপিয়ান সি রোডের মতো মুম্বাই শহরের অন্যতম একটি  দামি এলাকায়। মাস খানেক আগেই এই দানপর্ব সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি।

জানা গেছে, ওই বহুতল প্রাসাদটির নাম হচ্ছে ‘বৃন্দাবন’। যার একটি তলা আট হাজার স্কয়ার ফিটের। এক স্কয়ার ফুটের মূল্য ৪৫-৭০ হাজার রুপি পর্যন্ত। প্রাসাদের মোট পরিমাপ এক লাখ সাত হাজার স্কয়ার ফুট।

একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২২ তলা প্রাসাদের প্রথম আট তলাই রাখা  হয়েছে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত। শুধু বাড়ি দিয়েই ক্ষান্ত হননি মুকেশ, বহুমূল্যের ইতালিয়ান ফার্নিচারে সাজিয়ে দিয়েছেন গোটা প্রাসাদ।

উল্লেখ্য, রিলায়েন্স জিও ও রিটেলের পরিচালক মনোজ মোদির আগে থেকেই দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে বাণিজ্যনগরীর মহালক্ষ্মী এলাকায়। যার মোট মূল্য ৪১৫ কোটি রুপি। এবার সঙ্গে যোগ হল মুকেশের দেওয়া দেড় হাজার কোটির সম্পত্তি।

তারএতটাগুরুত্বকেন

রিলায়েন্সের যুগান্তকারী বিভিন্ন চুক্তির সাফল্যের পেছনে অন্যতম মাথা হচ্ছে এই মনোজ মোদি। আশির দশকে রিলায়েন্সে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে মুকেশ আম্বানির ‘ডান হাত’ হয়ে ওঠেছেন তিনি। করোনাকালে ফেসবুকের সঙ্গে জিওর প্রায় ৪৩ হাজার কোটি রুপির একটি চুক্তি হয়। যে সময়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা বিনিয়োগ পেতেই নাকানি-চুবানি খাচ্ছিল, সেই সময়ই অভাবনীয় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আনে রিলায়েন্স জিও। এর পেছনেও অন্যতম হাত ছিল এই মনোজ মোদির।

মুকেশ আম্বানির পর এখন আকাশ আম্বানি এবং ইশা আম্বানির সঙ্গে কাজ করছেন মনোজ মোদি। জিও থেকে শুরু করে রিলায়েন্স রিটেলের কাজকর্ম দেখছেন। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির এই ডান হাত। তবে রিলায়েন্স গোষ্ঠীতে তার কিন্তু কোনো তথাকথিত হেভিওয়েট পদ নেই। অথচ তারই নখদর্পণে থাকে সংস্থার সবকিছু। রিলায়েন্সের সাফল্যের পেছনে মুকেশ আম্বানিকে সাহায্য করার বিষয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এত কিছুর পরও বরাবরই প্রচারবিমুখ থাকেন তিনি। আর সেই কারণেই খুব কম মানুষ তার বিষয়ে জানেন।