
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়া দেশটির ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গোষ্ঠীর একজন যোদ্ধা বলেছেন, ওই সময় কী ঘটছিল সে বিষয়ে তিনি এবং তাঁর অধীনে থাকা যোদ্ধাদের কাছে কোনো তথ্যই ছিল না।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন সশস্ত্র বিদ্রোহের অবতারণা করেছিলেন। যোদ্ধাদের ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভে তে পাঠান। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওই শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ভাগনার যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে আরও এগিয়ে নেন প্রিগোশিন।
ভাগনার যোদ্ধারা সচরাচর সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন না। তবে বিবিসি রাশিয়া একজন জুনিয়র কমান্ডারের সাথে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে, যিনি ঘটনাচক্রে ওই বিদ্রোহতে অংশ নিয়েছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতীকে পরিণত হওয়া দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর দখলের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন গ্লেব নামের এই কমান্ডার। অবশ্য এটি তাঁর কোন প্রকৃত নাম নয়।
বিদ্রোহ শুরুর সময় গ্লেব রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলে ব্যারাকে নিজ সেনাদের সাথে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ২৩ জুন ভোরের দিকে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া ভাগনার যোদ্ধাদের একটি বহরে যোগ দিতে তিনি ফোন পেয়েছিলেন।
একজন ভাগনার কমান্ডার এই নির্দেশ দেন। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ওই কমান্ডারের নাম প্রকাশ করতে চাননি গ্লেব। অবশ্য ওই কমান্ডার প্রিগোশিন এবং ভাগনার কমান্ড কাউন্সিলের নির্দেশ মোতাবেক এই কাজটি করেছিলেন।
ওই কমান্ডার গ্লেবকে বলেন, ‘এটা পূর্ণ মোতায়েন। আমরা একটি বহর গড়তে যাচ্ছি, চলো বেরিয়ে পড়ি।’
গ্লেব বলেন, কেউই জানত না বহরটি কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে তিনি বিস্মিত হন, যখন বুঝতে পারলেন তাঁরা সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যাচ্ছেন।
এই কমান্ডার বলেন, যখন ভাগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করছিল, তখন তারা একেবারে কোনো ধরনের প্রতিরোধের মুখেই পড়েনি।
ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে গ্লেব বলেন, ‘আমি কোনো সীমান্তরক্ষীকে সেখানে দেখিনি। অবশ্য পুরো যাত্রা পথে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের স্যালুট দিয়েছিল।’
ভাগনারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম (বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ) চ্যানেলগুলো পরে দাবি করেছিল, ভাগনার যোদ্ধারা পৌঁছালে বুগায়েভকা তল্লাশিচৌকির সীমান্তরক্ষীরা অস্ত্র সমর্পণ করেন।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব