আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত সুখী দেশের তালিকায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডার পেছনে পরেছে বাংলাদেশের নাম।(২০ মার্চ) সোমবার জাতিসংঘ থেকে তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ১৩৭টি দেশের ন প্রকাশ করা হয়েছে।এদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম।
১ম
তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে ফিনল্যান্ড। আগের পাঁচবারও এই তালিকায় শীর্ষে ছিল এই দেশটি।
এই তালিকায় আগেরবার বাংলাদেশ অবস্থান ছিল ৯৪তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশ শুধু ভারতের ওপরে আছে। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান হচ্ছে ১২৬তম। আর এদিকে নেপাল (৭৮), পাকিস্তান (১০৮) ও শ্রীলঙ্কা (১১২) তম হয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। আর তালিকার একেবারের শেষের দেশ হলো আফগানিস্তান (১৩৭তম); অর্থাৎ আফগানিস্তান হচ্ছে সবচেয়ে অসুখী।
শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়েও বাংলাদেশ ‘অসুখী’। যেমন গিনি (৯১), আইভরি কোস্ট (৯৩), ক্যামেরুন (৯৬), সেনেগাল (১০২), ঘানা (১০৭) ও উগান্ডা (১১৩) এসব দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও (১১৮তম)।
সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০২৩-এ দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচবারের মতো এবারও সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে এরপর আছে যথাক্রমে সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড।
১১৮
জাতিসংঘের প্রকাশিত তালিকায় ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ১১৮ তম। গত বছর এই তালিকায় বাংলাদেশের ছিল ৯৪ তম
এবার সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ ও যুক্তরাজ্য ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম অবস্থানে। আর রাশিয়া আছে ৭০তম অবস্থানে। এ ছাড়া এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর রয়েছে সবার ওপরে, ২৫তম। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে সুখী দেশে হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত (২৬)।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই আজকের দিনটিকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখী এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি। এর পর থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রাক্কালে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেস্ক’ নামে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা থাকে।
জাতিসংঘের সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়ে থাকে।






