ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে তিনজন সিনিয়র ইসলামিক জিহাদ কমান্ডার ও শিশুসহ অন্তত ছয়জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানায়, তারা জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ইসলামিক জিহাদের তিন সিনিয়র কমান্ডারকে লক্ষ্য করেছিল। তারা অবরুদ্ধ উপকূলীয় ছিটমহলের দ্বিতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস তাদের নিয়ন্ত্রিত করে। ‘অপারেশন শিল্ড অ্যান্ড অ্যারো’ শিরোনামের এই বিমান হামলা ইসলামিক জিহাদের যেই তিনজন ফিলিস্তিনি সদস্যকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে তারা ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করার জন্য দায়ী।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘যেকোনো সন্ত্রাসী ইসরায়েলি নাগরিকদের ক্ষতি করলে তাকে অনুতপ্ত হতেই হবে।’ তিনি আরো যোগ করে বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ‘শিন বেট’ গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করেছে। এরপর গাজায় ইসলামিক জিহাদের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে একটি ‘সুনির্দিষ্ট’ অভিযান চালিয়েছে।

গাজার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও আরো ২০ জন আহত হয়েছে। ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, ‘আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকব ও প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।’ ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন জানিয়েছে, তাদের যে তিন নেতা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন তারা হলেন জিহাদ আল-ঘন্নাম, খলিল আল-বাহতিনি এবং তারিক ইজ আল-দীন।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গাজা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমানগুলো প্রশিক্ষণশিবির ও সীমান্তপোস্টসহ গাজা উপত্যকার আবাসিক এলাকা ও ইসলামিক জিহাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আঘাত হানে। ইসলামিক জিহাদের একজন মুখপাত্র তারেক সেলমি বলেছেন, এই হামলার মোকাবেলা করা হবে আক্রমণের মাধ্যমেই। এই অপরাধের শাস্তি তারা পবেই।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়,  ধোঁয়া এবং অগ্নিশিখায় রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে সুপরিচিত ফিলিস্তিনি অনশনকারী খাদের আদনান ইসরায়েলি কারাগারে মারা যান। এরপর ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে রকেট ছোড়া হয়ে থাকে। জবাবে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় আঘাত হানে।

সূত্র : রয়টার্স