ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গাজায় অমানবিক হামলার নিন্দা জানাচ্ছি: মোদি

গাজায় বেসামরিকদের উপর ইসরাইলের অনবরত হামলা ও হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার দ্বিতীয় ‘ভার্চুয়াল ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এ তিনি নিন্দা জানিয়েছেন।

চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে পশ্চিম এশিয়ায় সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্লোবাল সাউথের মধ্যে ঐক্য এবং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন মোদি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত সবসময় সন্ত্রাসী এবং সহিংসতার বিরোধিতা করে। এমনকি গত ৭ অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলারও। তবে চলমান এই সংঘর্ষে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহন করা যায় না। আমরা এর নিন্দা জানাই।

ভারতের প্রদানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাই দেখছি. যে পশ্চিম এশিয়ার ঘটনায় বিশ্বে নতুন চ্যালেঞ্জের উদ্ভব হচ্ছে। আমরা ৭ অক্টোবর হামাসের হামলারও তীব্র নিন্দা জানাই।
 
চলমান এই সংঘাত নিরসনে সংলাপকে প্রাধান্য এবং সংযম প্রদর্শনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমরাও সংযম দেখিয়েছি। আমরা সংলাপ ও কূটনীতির ওপর জোর দিয়েছি। আমরা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর তীব্র নিন্দাও করেছি।

মোদি বলেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে কথা বলার পর আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মানবিক সাহায্যও পাঠিয়েছি। এছাড়াও তিনি বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থের জন্য গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
 
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপে ইসরাইলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোদি। হামাসের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। 
 
তবে গত ১৭ অক্টোবর গাজার  আল আহলি হাসপাতালে বোমা বিস্ফোরণের নিন্দা জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘গাজার আল আহলি হাসপাতালে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা। চলমান সংঘর্ষে বেসামরিক জনগণের হতাহতের ঘটনা একটি গুরুতর এবং অব্যাহত উদ্বেগের বিষয়। যারা জড়িত তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।’
 
এছাড়া ২২ অক্টোবর এক এক্স পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাবে ভারত। ৬.৫ টন চিকিৎসা সামগ্রী ও ৩২ টন দুর্যোগ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আইএএফ সি-১৭ বিমান মিশরের এল-আরিশ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

>>>  রুটির জন্য ভিক্ষা ও গাধার মাংস খেয়ে বেঁচে আছে গাজাবাসী

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :