ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিগগিরই চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক রাডার ব্যবস্থা

দৈনিক স্লোগান, প্রযুক্তি



দেশে শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক রাডার এবং নেভিগেশনব্যবস্থা। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা বসছে। চলতি বছরের শেষ দিকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে।

বেবিচক সূত্র বলছে, অত্যাধুনিক এই ব্যবস্থা চালু হলে বাংলাদেশের পুরো আকাশসীমা নজরদারির আওতায় চলে আসবে। এতে উড়োজাহাজ চলাচল আরও নিরাপদ হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হবে বাংলাদেশ।

বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা রাডার এবং নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

বিদ্যমান রাডার এবং নেভিগেশন ব্যবস্থাটি প্রায় ৪৩ বছরের পুরোনো। বেবিচক জানায়, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের পুরো আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসে না। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের অংশ। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। কারণ, নিয়ম অনুয়ায়ী, অন্য কোনো দেশের উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিধান আছে। আকাশসীমা একবার ব্যবহারের জন্য ‘ফ্লাইং ওভার চার্জ’ নামের এই ফি-এর পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৫০০ ডলার।

বেবিচক বলছে, চলতি বছরের শেষের দিকে নাগাদ আধুনিক রাডার ব্যবস্থাপনা চালু হলেও তা পুরো মাত্রায় কার্যকর হতে আগামী বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর আন্তর্জাতিক রুটের কোনো বিদেশি উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করলেই ফি আদায় করতে পারবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ১৯৮০ সালের রাডার ব্যবস্থাটি ইতিমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এটি প্রতিস্থাপন করে নতুন রাডার বসানো জন্য ২০০৫ সাল থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

২০১৭ সালের ১ মার্চ রাডার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। এই নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে সমালোচনাও হয়। পরে এই অনুমোদন বাতিল করা হয়।

>>>  গুপ্তচর বৃত্তিতে ব্যবহার করা হতে পারে টিকটক: এফবিআই

২০২১ সালে বেবিচক তার নিজস্ব অর্থায়নে এ-সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন পায়। এই ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিএনএস-এটিএম (কমিউনিকেশন, নেভিগেশন এবং সার্ভিল্যান্স-এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) সিস্টেমসহ রাডার স্থাপন’ নামের প্রকল্পের কাজ আগামী বছর (২০২৪ সাল) শেষ হওয়ার কথা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের রাডার প্রস্তুতকারী কোম্পানি থ্যালেসের সঙ্গে চুক্তি করে বেবিচক। চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যেই রাডার স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :