ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৪১ বছর পর ভান্ডারিয়া হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন

দৈনিক স্লোগান, স্বাস্থ

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক প্রসূতির কন্যা সন্তানের জন্ম হয় বলে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী এই তথ্য জানান।

প্রথম সিজারিয়ান রোগী মিম আক্তার (২৫) উপজেলার ভিটাবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মি রায় জানান, আশির দশকের শুরুতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছিল। কিন্তু গর্ভকালীন জটিল রোগীদের সন্তান প্রসবের জন্য সিজারিয়ান সেবা চালু ছিল না। ফলে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে নানা অসুবিধায় পড়তে হতো।

“বিশেষ করে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে নিম্ন আয়ের গর্ভবতী নারীদের অনেক টাকা ব্যয় করে সিজারিয়ান করাতে হতো।”

তিনি আরও জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে মাত্র ১০ টাকা ফিতে সিজারিয়ান সেবা চালু করা হয়েছে। দুপুরে এক সন্তান সম্ভবা নারীর অবস্থা জটিল হওয়ায় তার সিজারিয়ানের প্রয়োজন হয়।

পরে ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকী, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মনি দাস, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. সুবেন্দু তালুকদার এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন। গৃহবধূ মিম আক্তারের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে।

মিমের স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান সেবা চালুর কারণে তাদের মতো নিম্ন আয়ের অনেক পরিবারেই উপকৃত হবে।

সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া মা এবং শিশু দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ডা. শর্মি রায়।

>>>  শেখ হাসিনা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :