
শীতকালে পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। শীতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমতে শুরু করে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এ কারণে শীতে ত্বক, ঠোঁটসহ পা ফাটার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন।
পা ফাটার অন্যতম কারণ হলো নিয়মিত পা পরিষ্কার না রাখা ও যত্ন না নেওয়া। বিশেষ করে শীতে পায়ের যত্ন না নিলে তা আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাহলে পা ফাটা রোধে কী করবেন?অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন পা ফাটা নিরাময় করতে। তাতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঠিক হলেও পরবর্তীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ সমস্যা হতে পারে। তাই রইলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পা ফাটা রোধের কিছু উপায়।

একটি পাত্রে ঈষদুষ্ণ পানি, আধা চা-চামচ নারকেল তেল, সামান্য লবণ দিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার একটা পিউমিস স্টোন দিয়ে গোড়ালি ও পায়ের পাতা ভালো করে ঘষে নিন। আর পায়ের ফাটা অংশে ময়লা জমলে দু-তিন চা-চামচ চালের গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও ভিনেগার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে কিছুক্ষণ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে গোড়ালির ডেড সেল ও ধুলো-ময়লা সহজে চলে যাবে। তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড়ে মুছে জেল বা ক্রিম লাগান। পা ফাটার সমস্যা কেটে যাবে।
শিশুদের যত্নে যা করতে পারেন

২/৩ চা চামচ চাল, সাদা ভিনেগার ও মধু নিন। প্রথমে চাল একটু ভিজিয়ে রেখে পিষে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে অথবা শিল পাটায় বেটে নিতে পারেন। একটু দানা দানা করে চাল পিষে নেবেন। এরপর এতে পরিমাণ মত ভিনেগার ও মধু দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। একটি বড় পাত্রে কুসুম গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা পায়ে ঘন পেস্টটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করে পা সেভাবেই রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। তারপর খানিকটা অলিভ অয়েল গরম করে নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব