২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন নেত্রকোনার আসিফ রহমান ওরফে নিহাল। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিকে আসিফ পেয়েছেন ৯০ দশমিক ৫ নম্বর। সে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ও আফরোজা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। নিজের এমন ভালো ফলাফলের পেছনে পরিশ্রম ও নিজের প্রতি সৎ থেকে চেষ্টা করার কথা বলেছেন তিনি।

আসিফ রহমানের বাবা মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আফরোজা বেগম ময়মনসিংহের ফুলপুর মহিলা কামিল মাদ্রাসায় জীববিজ্ঞানের প্রভাষক। ময়মনসিংহ শহরের কিষ্টপুর দৌলত মুন্সি সড়ক এলাকায় তাঁরা বসবাস করেন।

তার পরিবার জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছাত্র আসিফ। তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে এইচএসসি—সব পাবলিক পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতেন চায় আসিফ।

আজ সোমবার ১৩ মার্চ দুপুরে আসিফের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, আসিফের মা আফরোজা বেগমের ইচ্ছা ছিল, ছেলে চিকিৎসক হবে। মায়ের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আসিফের ছোট চাচা ওয়াহিদুর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের নিউরো বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আসিফ খুব ভালো ছাত্র। তাই আমি তাঁকে লেখাপড়ায় কোনো প্রকার চাপ দিইনি। আমি চাই সে চিকিৎসক হোক বা অন্য কোনো পেশায় থাকুক, সে যেন একজন সংবেদনশীল ভালো মানুষ হয়। আর চিকিৎসা পেশায় থাকলে যেন একজন সৎ ও মানবিক চিকিৎসক হয়।’

আসিফ রহমানের মা আফরোজা বেগম বলেন, ‘চিকিৎসক হতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, তাই সব সময় ছেলের পাশে থেকে তাঁকে লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধ করেছি। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। মনে হচ্ছে আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। ছেলের সাফল্যে আমি অত্যন্ত খুশি।’