
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে’ কলা, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছুদের ফুল দিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পরীক্ষা শেষে হাইকোর্ট সংলগ্ন শিক্ষা চত্বরের পাশের কার্জন হলের গেইটে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে। হামলায় ছয়জন ছাত্রদলকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে দাবি তার।
আহতরা হলেন-ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম জিসান, আব্দুল্লাহ আল সাব্বির কর্মী জহুরুল হক হল ছাত্রদল, সেশন ২০১৪-১৫ গুরুতর আহত ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে মাথায় ১২ টি সেলাই করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক,রাজু আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক, এ এফ রহমান হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জারিফ , এ এফ রহমান হল, জহুরুল হল ছাত্রদলের কর্মী আতিক ইশরাক।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় নবীনদের শুভেচ্ছা জানাতে ফুল এবং কলমের বিরুদ্ধে যে ছাত্রসংগঠন সশস্ত্র হামলা চালায় তা আদৌ ছাত্রসংগঠন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এহেন ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। ও অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই৷
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। ছাত্রদল নিজেদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা ভর্তিচ্ছুদের সেবায় নানা কার্যক্রমে জড়িত ছিল। ছাত্রদল নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ছাত্রলীগ জড়িত ছিলো না।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রদলের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ রয়েছে। তারা আলাদা আলাদা ফুল দিতে গিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এটাই সত্য।’
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব