
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শ্রেণীকক্ষের সামনে কেন্দ্রীয় মসজিদের পিছনে একটি বড় আশঁফল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মোঃ সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তিনি গভীর রাতে গাছটি কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ভিতরে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের পিছনের বড় আশঁফল গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। গাছের কর্তিত অংশ এবং পাতা এখনো সেখানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
গাছকাটায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষাও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন বলেন, গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে ক্লাস করে বের হয়ে গাছটির নিচে দাড়িয়ে আড্ডা দিতাম। কত শত স্মৃতি বিজড়িত গাছটির মৃত্যু হলো আজ। এমন একটি গাছ পুরাণ ঢাকার মত জায়গায় উঠতে ২০-৩০ বছর লেগে যায়। কাটার সময়ও পুরো গাছটা আঁশফলে ভরা ছিলো। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে এই কাজের সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জানা যায়, গতকাল ২৪ মে গভীর রাতে লোকজন নিয়ে এসে গাছটি কেটে ফেলে ইমাম মোঃ সালাউদ্দীন।
গাছ কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম মোঃ সালাউদ্দীন বলেন, পরশুদিন
স্টেট অফিসার কামাল সাহেবকে জানোর পরে তিনি ট্রেজারার স্যারের কাছে নিয়ে যান আমাকে। ট্রেজারা স্যার অনুমতি দিয়েছেন তাই আমি গতকাল গাছ কেটেছি। এছাড়াও গভীর রাতে গাছ কাটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি (ইমাম) বলেন, সারাদিন অফিস টাইম থাকে, স্কুলের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে কারো যাতে কোনো ক্ষতি না হয় এজন্য রাতেই কাটা হয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার কামাল হোসেন সরকার বলেন, আমাকে উনি (হুজুর) আঁশ ফল গাছের কথা বলেন নাই। আমার সাথে ঐপাশে যে নারিকেল গাছ আছে সেটার ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমি বলেছি নারিকেল গাছ কাটলেও ট্রেজারার স্যারের অনুমতি লাগবে। আমি আজকে সারাদিন সচিবালয়ে ছিলাম গাছকাটার বিষয়ে কিছুই জানিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ। এই গাছটি কাটা ঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিবো।
মসজিদ কমিটির দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমি নারিকেল গাছের ডালপালা ছাটাইয়ের বিষয়ে অবগত ছিলাম। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। আমি সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঈমামকে চার্চ করেছি এবং বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত করেছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব