ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জবিতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

দৈনিক স্লোগান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২৫ মার্চ কালরাত্রি ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জবির গুচ্ছ ভাস্কর্যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের স্মরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৫ মার্চ) ১০ ঘটিকায় কালরাত্রি ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভাস্কর্যে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ভয়াল কালরাত স্মরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক মিনিটের জন্য নিরবতা পালন করে নেতাকর্মীরা।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ গণহত্যা ছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২৫ শে মার্চ এই কালরাতে বাংলাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানি হায়নাদের বিশ্ববাসী চিরদিন ঘৃণাভরে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, এ গণহত্যার স্মারক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি ইতিহাসের একটি অংশ। শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে অনেক কিছু শিখবে। নতুন প্রজন্মের এই ভাস্কর্য থেকে অনেক কিছু শিখার ও জানার আছে। স্বাধীনতা কত কষ্টে অর্জিত হয়েছে তারা তা বুঝতে পারবে।

সাধারণ সম্পাদক এস. এম আক্তার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের স্মৃতিকে লালন করার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে প্রবাহিত করার জন্য। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের কবল থেকে মুক্তি চেয়েছিল বাঙালি জাতি, তাদের স্বপ্ন ছিল নিজেদের মতো সুন্দর জীবনযাপন করা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ২৫ মার্চের কালরাতে।’ পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী এই দিন থেকেই (১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ) হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এই ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি চাই।

>>>  গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু মঙ্গলবার

পরবর্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশালাকৃতির স্ক্রল পেইন্টিং অংকন করা হয় এবং তা প্রদর্শন করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং অনুষদের নেতাকর্মীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :