
শস্য চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠকের পর এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা করবেন এই চুক্তির অন্যতম অংশীদার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
শুক্রবার আঙ্কারায় জেলেনস্কির সাথে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনার লক্ষ্য থাকবে শস্য চুক্তির মেয়াদ আরও অন্তত ৩ মাস বাড়ানো। চলতি জুলাই মাসের ১৭ তারিখ শেষ হতে যাচ্ছে এই চুক্তির মেয়াদ।
সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা এই চুক্তির মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়াতে চাচ্ছি। তবে আপাতত তা তিন মাস বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে। এই সংক্রান্ত কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী আগস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের সূচি রয়েছে। সে সময় এই ব্যাপারে তার সাথে আলোচনা হবে আমাদের ও আশা করছি, সেই আলোচনা সফল হবে।’
ইউক্রেন এবং রাশিয়া— উভয়ই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গম এবং ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ইউক্রেনের গুদামগুলোতে আটকা পড়েছিল প্রায় ২৬ লাখ টন গম,ভুট্টা এবং কয়েক লাখ টন সূর্যমুখীর তেলবীজ।
এদিকে ইউক্রেনে শস্য আটকে থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করেই বাড়তে থাকে আটা-ময়দা-ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া এই গম-ভুট্টা ছাড়ের জন্য জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছর আগস্টে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তি করেছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন।
তারপর এই পর্যন্ত কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে সেই চুক্তির মেয়াদ। সর্বশেষ মেয়াদবৃদ্ধির তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৭ আগস্ট এই চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার এক রাষ্ট্রীয় সফরে আঙ্কারা গিয়ে এরদোয়ানের সাথে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল চুক্তির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা।
রাশিয়া অবশ্য গত জুন মাসে জানিয়েছিল, চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আর আগ্রহী নয় দেশটি। তবে জেলেনস্কি তুরস্কে যাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র এবং প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, এরদোয়ান এবং জেলেনস্কির বৈঠক মস্কোর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব