
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন-আকুর আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের ফলে রিজার্ভ আরও কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডলার সংকটের সাথে রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।
সোমবার আকুর দায় পরিশোধের পর বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে। এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত এক বছরে রিজার্ভের পরিমাণ কমেছে ২৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য এর বড় অংশই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণেই।
তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩ মে মাস পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। মূলত সরকারি কেনাকাটা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আমদানি কম থাকার পাশাপাশি উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২১ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছিল।
এদিকে বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবুও সংকট কাটছেই না। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি এবং বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করেই যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব