বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ-বায়রা’র মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী নোমানকে মহাসচিব ও মিজানুর রহমানকে অর্থ সম্পাদক পদে বহাল রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সাথে কম্পানি আইন ভেঙে গত ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করায় ওই সভাকেও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্ণা সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বায়রা এবং সংশ্লিষ্টদের মন্ত্রণালয়ের আদেশ জানানো হয়েছে। 

বায়রার সাধারণ সদস্যরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রধান রেমিট্যান্স উপার্জনকারী এই জনশক্তি খাত আরও  গতিশীল হবে।

তারা আরো জানায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এজিএম-এ একতরফাভাবে বাদ দেওয়া নজিরবিহীন। ব্যক্তি স্বার্থে একটি চক্র বায়রাকে দুর্বল করার পিছু ছুটছে। তারাই এসব বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ প্রায় দু’বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে বায়রার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে গণতান্ত্রিক সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট ২৩টি পদে জয়লাভ করে। অন্যদিকে, সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট থেকে মাত্র চারটি পদ পেয়েছে। ওই নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই বায়রার নতুন কমিটিকে অকার্যকর করতে অপতৎপরতা শুরু করে একটি চক্র। সবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৩০এ জানুয়ারি প্রথম এজিএম বসে।কিন্তু কতিপয় সদস্যের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে ওইদিন এজিএম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। পরে আবারও বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম আয়োজনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ২০১৮ থেকে ২০২২ পরযন্ত বছরগুলোর এজিএম করার কথা জানানো হয়নি। আইন অনুসারে পূর্ববর্তী বছরের এজিএম করতে উচ্চ আদালতের আদেশ লাগবে। কিন্তু বায়রার একটি চক্র আদালতের আদেশ না নিয়েই পুরনো এবং কয়েক বছরের এজিএম করে।

এই কারণে সবশেষ এজিএমকে কম্পানি আইনের পরিপন্থী হিসেবে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

এছাড়া সবশেষ ওই এজিএম-এই পরিকল্পিতভাবে বায়রাকে অকার‌যকর করতে সংগঠনটির মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী এবং অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে বেআইনীভাবে বহিষ্কার করে। এর স্থলে অবৈধভাবে আলী হায়দার চৌধুরীকে মহাসচিব ও খলিলুর রহমানকে অর্থ সম্পাদক করা হয়। কোনপ্রকার কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ওই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ হওয়ায় বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২-এর ১৫(৩) (চ) ধারার ক্ষমতাবলে ওই বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে শামিম আহমেদ চৌধুরী এবং মিজানুর রহমানকে নিজ নিজ পদে বহাল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বাণিজ্য সংগঠন) উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দিয়েছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। এই ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হবে।