
দেশের তৃতীয় টেলিকম কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ৯০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চাচ্ছে বাংলালিংক টেলিকম।
মোবাইল অপারেটরটির একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে বৈঠক করে এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন।
গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন ও রবি ইতোমধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। বাংলালিংক তালিকাভুক্ত হলে টেলিকম কম্পানির সংখ্যা তিনে উন্নীত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ‘ভিওন’ এর কো-ফাউন্ডার এ কে ফাবেলা এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “বাংলালিংকের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। তালিকাভুক্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।’’
কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ৯০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহে অভিহিত মূল্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাচ্ছে বাংলালিংক।
কমিশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলালিংক ১০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) এর মাধ্যমে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ‘ভিওন’ হচ্ছে বাংলালিংকের মূল মালিক। ২০০৫ সালে বাংলালিংকে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশে পথচলা শুরু করেছে ভিওন।
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়ে বাংলালিংকের কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এর প্রধান কর্মকর্তা তাইমুর রহমান এক লিখিত বিবৃবিতে জানিয়েছেন, “পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে ভিওনের একটি সফল আলোচনা সম্পুর্ন হয়েছে। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলোকে বিকশিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি।”
বর্তমানে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটির বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব