গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অর্থবহ অংশগ্রহণের উদ্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার (২ মে) এই বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে থাকে গ্রামীণফোন।      

সভায় গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯৫ শতাংশ হারে (প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ৯.৫ টাকা ) চূড়ান্ত আর্থিক লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে। এই নগদ লভ্যাংশের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২২০ শতাংশ তে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আগের ১২৫ শতাংশ অন্তর্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ। এই হিসাবে ২০২২ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।  

গ্রামীণফোনের কম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নিয়েছেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ড সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তখন ছিলেন।

ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেছেন, ‘২০২২ সালে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কোটি মানুষের জন্য মোবাইল কানেক্টিভিটি সেবাদানের ২৫ বছর পূর্তি করেছিল। তাই ২০২২ সাল গ্রামীণফোনের জন্য এক অনন্য মাইলফলকের বছর। প্রতিকূল নিয়ন্ত্রক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এটি জানাতে পেরে আনন্দিত যে,  কম্পানি টপ-লাইন বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ, বাজার সক্রিয়তা আর প্রতিষ্ঠান জুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর ও আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশাল গ্রাহক সংখ্যার ক্রমবর্ধমান ডেটা চাহিদা মেটাতে দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ভবিষ্যত উদ্ভাবনীর পথ দেখাতে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনাকারী অন্যতম মোবাইল অপারেটর হিসেবে স্থান করে নিতে পেরেছি আমরা।’ 

ইয়াসির আজমান বলেছেন, ‘সবসময়ের মতো ২০২২ সালেও আমরা গাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেছি। তাদের চাহিদা পূরণে এবং উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিকায়নের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছি। ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে আমরা সর্বোচ্চ অধিগ্রহণযোগ্য ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছি ও নেটওয়ার্কের বিস্তৃতিতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। সকল প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আমরা আমাদের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা নিরবচ্ছিন্ন রেখেছি এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন করেছি।