ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পী
গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ডে একজন দিনমজুরের বক্তব্য উদ্বৃত করা হয়। কিন্তু সে উদ্ধৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় একটি শিশুর ছবি। তবে দিনমজুরের উদ্ধৃতির সঙ্গে শিশুর ছবি প্রকাশের অসংগতির বিষয়টি তুলে ধরে ১৭ মিনিটের মধ্যেই ফটোকার্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করে সংশোধনী দিয়েছিল প্রথম আলো।
এমন প্রেক্ষাপটে গত বুধবার ভোর রাতে সিআইডি পরিচয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। অন্যদিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।
আর বুধবার মধ্যরাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মালেকের করা রমনা থানার ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও পত্রিকাটির সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরা পারসন এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজিরের পর রমনা থানার মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। সেই থেকে কারাগারে আছেন শামসুজ্জামান।






