মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়েছে চীন। সোমবার জিনজিয়াং প্রদেশে ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

প্রচণ্ড গরমের কারণে গত কয়েক দিন বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে এশিয়া, ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। 

কয়েক দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাবদাহ চলছে। আবার কিছু দেশে টানা বৃষ্টিতে বন্যা এবং  ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটছে। এতে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সানবাও শহরের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৫ সালে আয়দিং এলাকার কাছে সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে থাকে চীনের আবহাওয়া বিভাগ।

উত্তপ্ত আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চীনের বিদ্যুৎ এবং শস্য উৎপাদন। গত বছর ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরার মুখে পড়েছিল এই দেশটি। 

এই বছর ২২ জানুয়ারি উত্তর-পূর্ব হেইলংজিয়াং প্রদেশে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চীনের ইতিহাসে এটিই রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে, জাপানের রাজধানী টোকিওসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

ফুকুশিমার হিরোনো শহরে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। জাপানে ৪৭টি প্রদেশের মধ্যে ২০টিতেই ‘হিট স্ট্রোক’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইউরোপের দেশ ইতালির বাসিন্দাদের আগামী কয়েক দিনে গ্রীষ্মকালীন প্রচণ্ড দাবদাহের জন্য মানুষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। 

মঙ্গলবার ইতালির রাজধানী রোমে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার আভাস দেয়া হয়েছে। সিসিলি এবং সারদিনিয়ার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। এটি হবে ইউরোপে এই যাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গ্রিসের এথেন্সে গরমের কারণে বন্ধ রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। রোমানিয়ার তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও দাবদাহের তীব্রতা বাড়তে পারে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় আট কোটির বেশি মানুষের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলে পুড়ে গেছে সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি এলাকা। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।