হারুনকাণ্ডে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিতে ৫ কার্যদিবস অতিরিক্ত সময় পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডিএমপি কমিশনার সময় বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন।

ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে সময় বাড়ানোর আবেদন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে অতিরিক্ত ৫ দিন সময় নির্ধারন করা হয়েছে।

এদিকে এডিসি সানজিদাকে রংপুর বদলি করার খবরের সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত এমন কোনো অর্ডার হয়নি। এডিসির বদলি বিষয়ে কোনো আদেশের কপি পাই নাই।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ থানায় ধরে নিয়ে পেটানোর অভিযোগে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এই কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার তদন্তের সময় বাড়ানোর জন্যে আবেদন করে কমিটি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আরও পাঁচদিন সময় বাড়ানো হলো।

এর আগে ছাত্রলীগের এই দুই নেতাকে পোটানোর ঘটনায় এডিসি হারুন অর রশীদকে ডিএমপির রমনা জোন থেকে বদলি করা হয় পিওএম উত্তর বিভাগে। তারপর সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের একদিন পরই মঙ্গলবার তাকে আবার রংপুরে সংযুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী এবং তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সাথে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।