পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পাকডাল গ্রামে আজ শনিবার রাতে শৌচাগারের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে থেকে আতিকুর রহমান (১১) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আতিকুর ফজলুর রহমান রাহিমীয়া দারুল উলুম নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী। সে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্যজিরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. সরোয়ার সর্দারের একমাত্র পুত্র সন্তান।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা ও মা পাগল প্রায়।
ছেলের মামা হাসান মাহামুদ বলেন,আতিকুর প্রায় তিন বছর আগে এই হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসার মধ্যে ছাত্রাবাসে থাকত। আজ শনিবার মাদ্রাসা থেকে জানানো হয় শুক্রবার দিবাগত ভোর রাত পৌনে চারটার দিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে। পরে তাঁরা এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন।
একপর্যায়ে একই মাদ্রাসার ইসমাইল (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর অসংলগ্ন কথা-বার্তা শুনে সন্দেহ হয়। তখন ওই শিক্ষার্থীকে চাপ প্রয়োগ করলে আজ সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা থেকে প্রায় দুইশ মিটার দূরে ফজলুর রহমান মুন্সি বাড়ির জামে মসজিদের শৌচাগারের সেফটি ট্যাংকি দেখিয়ে দেন এবং সেখানেই আতিকুরের লাশ দেখতে পান।
আজ রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত শিশুটির লাশ ওই সেফটি ট্যাংকির মধ্যে রয়েছে। পুলিশ মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন,শিশুটিকে মেরে ওই ট্যাংকির মধ্যে রাখা হয়েছে। খুনিকে শনাক্ত করে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা এবং আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মুহুর্তে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।








