ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লাশ বাড়ি আনার পর মা জানলেন ছেলে আর নেই

দৈনিক স্লোগান,দুর্ঘটনা

তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন খুলনার আমতলার টুটপাড়া এলাকার মো. আশফাকুজ্জামান ওরফে লিংকন (৪৫)। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রথমে তাঁর মা হাসনা হেনাকে শুনানো হয়নি। রোববার রাতে বাড়িতে লাশ এলে মা জানতে পারেন তাঁর প্রিয় ছেলে আর বেচে নেই। গতকাল সকালে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে একজন তাঁর ছেলে।

বাড়ির লোকজন বলেন, আশফাক রাতে মা-বাবাকে বলে রেখেছিলেন যে ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। ভোর চারটার দিকে দুই ভাই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। খুলনার রয়েল মোড় থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে ওঠে আশফাক ও তাঁর ছোট ভাই মো. ইশরাকুজ্জামান। ইশরাক গোপালগঞ্জে নেমে যায়। পরে মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়লে আশফাক এই দুর্ঘটনার শিকার হয়।

আশফাকুজ্জামান ছিলেন একজন ঠিকাদার। তাঁদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা খুলনা নগরের টুটপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেতেন।

আশফাকুজ্জামানের মেজ মামা হুমায়ুন কবির বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা নিশ্চিত হন সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের ভাগনে আশফাক মারা গেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশফাকের বাবা শাজাহান মোল্লাকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়ছে। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মা হাসনা হেনাকে জানানো হয়নি ছেলের মৃত্যুর খবর। তাঁকে বলা হয়েছিল, সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলে আহত হয়েছেন।

>>>  সাড়ে ৭ ঘন্টা পর ঢালারচর এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :