ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে বলা হলো- আপনি ইলেকশন (নির্বাচন) করবেন না। আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখা হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম- প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা কী? এসি রুম, একখানা গাড়ি? এগুলো তো আমি চাই না।

তিনি বলেন, এমন নানান প্রলোভনের প্রেক্ষিতে আমি তাদের বলেছি, আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই। আমার বাবা এ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমিও প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ির প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। আমি এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে, নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশকে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেখে গিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশ। ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পায়। নির্বাচনী ওয়াদা আমরা রক্ষা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি-জামায়াত জোটের কখনোই ইচ্ছা ছিল না। মানুষকে পদদলিত করে রাখা, অন্ধকারে রাখা এবং তাদের শোষণ করে রাখাই তাদের লক্ষ্য। নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হবে- এটাই বোধহয় তাদের চেষ্টা।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে ত্রাসের রাজত্ব চলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারপর ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা। পাঁচ বার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। ৫০০ জায়য়গায় বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা। যার ফলে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার (জরুরি অবস্থা জারি) হয়। আর সেই ইমার্জেন্সিতে সবার আগে গ্রেফতার করা হলো আমাকে। আজকে সেই দিন। আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আমরা সবসময় ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করেছি।’

>>>  গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল জবি, নিজস্ব ভর্তি কমিটি গঠন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :