দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও দলকে জেতাতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। আউট হওয়ার পরে তাকে স্বান্ত্বনা দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ।
আরও একটি রোমাঞ্চকর লড়াই দেখাল অ্যাশেজ। পঞ্চম দিনে ম্যাচের ভাগ্য দুলতে থাকল পেন্ডুলামের মতো। একপর্যায়ে দেড় শতাধিক রানের ইনিংসে প্রায় ম্যাচ জিতিয়েই দিয়েছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। কিন্তু অ্যাশেজের টেস্ট যদি এত সহজেই জেতা যেত, তাহলে এটা অ্যাশেজ কেন? চুড়ান্ত নাটকীয়তা শেষে লর্ডসে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ব্যর্থ করে দিয়ে ৪৩ রানের নাটকীয় জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া দল।
দলকে আরও একটি স্মরণীয় জয় এনে দিতে পারলেন না স্টোকস। বরং টানা দুই জয়ে প্যাট কামিন্সের বাহিনী সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ এর ব্যবধানে।
৪ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে আজ পঞ্চম দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। কিছুক্ষণ খেলা হওয়ার পর ভাঙে স্টোকস ও ডাকেটের ১৯৮ বলে ১৩২ রানের জুটি।
জস হ্যাজেলউডকে পুল করতে গিয়ে অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসবন্দি হয়ে চলতি টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরি মিস করেন বেন ডাকেট। তার ১১২ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। তিনি প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর অদ্ভুতভাবে রান-আউট হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো (১০)।বল ডেড হওয়ার আগেই তিনি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এই সুযোগে স্টাম্প ভেঙে দেন কিপার অ্যালেক্স ক্যারি।
ক্যামেরন গ্রিনকে পরপর তিনটি ছক্কা মেরে ১৪২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। পেস তারকা স্টুয়ার্ট ব্রডের সাথে ৭ম উইকেটে স্টোকসের ১০৮ রানের জুটিতে জয় দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সব আশা শেষ হয়ে যায় স্টোকসের বিদায়ের পর।
হ্যাজেলউডের বলে তিনি ধরা পড়েন অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে। এভাবেই শেষ হয় ২১৪ বলে ৯ চার ৯ ছক্কায় গড়া স্টোকসের ১৫৫ রানের ইনিংস। ওলি রবিনসনকে (১) ফেরান প্যাট কামিন্স। এরপর জশ টং (১৯) আর জেমস অ্যান্ডারসন (৩) কিছুক্ষণ লড়াই করেন। মিচেল স্টার্কের বলে জশ টংয়ের স্টাম্প উড়ে গেলে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড অল-আউট হয়ে যায় ৩২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার তিন তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন।








