ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ক্রিকেট বিশ্বের নতুন ‘চোকার্স’ ভারত?

চোকার্স’ বদনামটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সাথে পাকাপাকিভাবেই সেঁটে গেছে। পুরো টুর্নামেন্ট ভালো খেলে সেমিফাইনাল এ থেকে বিদায়- এটাই প্রোটিয়াদের নিয়তি। এবার কি তাদের বদনামের ভাগ পেতে যাচ্ছে ক্রিকেটের শক্তিধর দেশ ভারত? যারা গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। তাদের ক্রিকেট আবর্তিত হয় আইপিএলকে ঘিরেই।

এর প্রভাবে সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও তারা রানার্সআপ হয়ে থাকে। তাই ভারতের নামের পাশেই ‘চোকার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন সমালোচকরা।

২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে ভারত। এরপর থেকে তারা আর কোনো শিরোপাই অর্জন করতে পারেনি।

 ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হেরে যায়। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকেই। পরের বছর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালের বেশি যেতে পারেনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় হয় ভারত। 

ব্যর্থতার এখানেই শেষ নয়। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে থাকে ভারত। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও সেই নিউজিল্যান্ডের কাছেই নিজেদের আত্মসমর্পণ করে দেয়। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিতে থামে ভারতের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।চলতি মাসে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ে তারা আরও একটি আইসিসি ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে থাকে।

এসব কারণেই ভারতকে এখন ‘চোকার্স’ বলছেন অনেকে ক্রিকেট ভক্তরা।

তবে ভারতকে এখনই ‘চোকার্স’ বলতে রাজি নন দলটির সাবেক কোচ ও ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। ভারতের দ্য উইক পত্রিকায়  দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, যে দু’টি দল খেলছিল (ভারত-অস্ট্রেলিয়া) তারা তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ পেয়েছিল। এমন নয় আমরা (বিশ্বকাপে) বিধ্বস্ত হয়েছি। আমরা সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলেছি। আমরা জিততে পারিনি, কারণ আপনি যখন বড় কিছু জিততে চান, তখন আপনার দলীয় প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে। আপনি কখনোই একজন ব্যক্তি বা অধিনায়ককে দোষারোপ করতে পারবেন না।’

>>>  মেসিকে ছেড়ে যাচ্ছেন ডি মারিয়া

ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত হেরেছে বলে মনে করেন শাস্ত্রী, ‘বিশ্বকাপ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ব্যাটার কাছ থেকে তিন অংকের ইনিংস আসতে হবে । তাহলে বোলারদের লড়াই করার জন্য মঞ্চ তৈরি হয় ও ট্রফি জয়ের ভালো সুযোগ থাকে। যদি আপনি সেঞ্চুরি না পান, তাহলে কমপক্ষে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস দরকার। সেটা টেস্ট-ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি- যে ফরম্যাটই হোক না কেন। যদি আপনি সেটি করতে না পারেন তাহলে আপনি সেই জয়ের যোগ্য নন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :