ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বহুমুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা–কর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চতুর্মুখি ষড়যন্ত্র চলছে, বহুমুখী ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

তিনি আজ (সোমবার) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, সেখানে তিনি এসকল কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হবে কারণ, বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র রয়েছে।’ তিনি বলেন, যখনই দেশের মানুষের জীবনযাত্রার কিছুটা উন্নতি হয়, তখনই বাংলাদেশে কিছু কুলাঙ্গার আছে, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং সর্বত্র মিথ্যাচার করে।

তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ আন্তর্জাতিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিদেশিদের সামনে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করে। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের সময় লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও দমন-পীড়নসহ গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধ করেছে এবং এখন তাদের প্রজন্ম নিরলসভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
ভোট কারচুপি বিএনপির কারসাজি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে গঠিত দলের কাছ থেকে আমাদের গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। ভোট চুরি করা তাদের অভ্যাস। তাহলে চোরদের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কী শিখবে?’

শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা–কর্মীদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। দল যেন আরও শক্তিশালী হয়, আমাদের সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তাঁর দল টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখায় এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। আজ আমরা সফলভাবে পরিবর্তন করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, তার সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার অঙ্গীকার রক্ষা করেছে, কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম, পরিবহন খরচ, গ্যাস, জ্বালানি ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক ঋণের সুদের হার বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্র্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে এখনো পাঁচ মাসের জন্য খাদ্য সংগ্রহের জন্য যথেষ্ট রিজার্ভ মজুত রয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সারা বিশ্বে এবং বাংলাদেশেও খাদ্যের দাম বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের কষ্ট হচ্ছে। তবে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে (বাজারে) এবং কোনো জিনিসেরই অভাব নেই। আরও বলেন, তাঁর সরকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বৃহত্তম জাতীয় বাজেটের রেকর্ড করেছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই কঠিন সময়ে সরকার এত বড় বাজেট দিতে পেরেছে।

>>>  চাপ দিলে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে চলে আসত: হাসান মাহমুদ

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :