ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কম বয়সে বিয়ে করা উচিত নয় যে ১০ কারণে

দৈনিক স্লোগান, লাইফস্টাইল

বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের ব্যাপারে, জীবনের লক্ষ্য এবং সঙ্গীর ব্যাপারে নিজের সাথে বোঝাপড়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক প্রস্তুতি, আর্থিক নিরাপত্তা ও নিজের চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তা সুন্দর দাম্পত্য জীবনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। কম বয়সে বিয়ে করলে অনেক সময়ই বিপরীত অবস্থাও তৈরি হতে পারে। কারণ এর অনেক সম্ভাব্য সংকট আছে।

কম বয়সে বিয়ে করে ফেলার আগে অনেক বিষয়ের ওপর নজর দেওয়াও জরুরি। কেউ কেউ আগেভাগে বিয়ে করে ফেলছে দেখেই বিয়ে ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এটি যে কারো জীবনের জন্য একটি অন্যতম বড় পদক্ষেপ।

যদিও কেউ কেউ তারুণ্যের শুরুতেই বিয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত মনে করে থাকে, তবুও বিয়ের আগে অপেক্ষা করার বেশ কিছু সুবিধাজনক দিক আছে। এখানে আমরা কিছু কারণ দেখব। জনাব, কেন অল্প বয়সে বিয়ে করার আগে আপনার দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত।

জীবনমুখী অভিজ্ঞতার ঘাটতি

কম বয়সে বিয়েকে নিরুৎসাহিত করার একটি অন্যতম কারণ হলো জীবনমুখী অভিজ্ঞতার অভাব। নিজেকে চিনতে, জীবনের লক্ষ্য এবং চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হতে অনেক ক্ষেত্রেই তরুণদের সময় প্রয়োজন হয়। ফলে তাড়াহুড়া করে এমন কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে যে কি না তার সাথে জীবন কাটানোর উপযুক্ত নয়।

ধরুন, ২ জন কম বয়সী তরুণ-তরুণী ১ বছর প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে জীবন কাটিয়েছেন। নিজের মতো করে বেঁচে থাকার কিংবা ঘোরাঘুরি করার সুযোগও এখনো তাদের হয়নি। এই অবস্থায় বিয়ে করলে সংশ্লিষ্ট আরও নানা রকম দায়িত্ব এবং বাধ্যবাধকতা তাদের ওপর চলে আসবে, যা সামলানোর মতো অভিজ্ঞতা তাদের নেই। ফলে দাম্পত্য জীবনে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

আর্থিক প্রস্তুতি না থাকা

আর্থিকভাবে প্রস্তুত না থাকা আরও একটি অন্যতম বিষয়, যার কারণে কম বয়সে বিয়ের পরিণতি অনেকসময় সুখকর নাও হতে পারে। তরুণ কোনো দম্পতির নিরাপদ নির্দিষ্ট আয়ের উৎস না থাকার আশঙ্কা থাকে, যা তাদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে ও তাদের সম্পর্কের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

>>>  জাতিসংঘ ও এডিবি বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিংবা সবেমাত্র অল্প বেতনে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা কোনো জুটির কথা ভাবুন। তাদের জন্য কিন্তু বিয়ের পর একে অন্যকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। হয়তো তাদের একজনের বেতনে মাস কাটাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে তাদের সম্পর্কের উপর।

ক্ষুদ্র সামাজিক পরিমণ্ডল

কম বয়সী দম্পতিদের সামাজিক পরিমণ্ডলও অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র পরিসরের হয়ে থাকে। যেই কোনো জরুরি প্রয়োজনে সম্বল কিংবা সহায়তার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বয়স কম হলে এলাকায় পরিচিতি পাওয়া, প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধন সৃষ্টি করা কিংবা বিভিন্ন সামাজিক পরিমণ্ডল খুঁজে পাওয়ার মতো কঠিন কাজগুলো তাদের করতে হয়ে থাকে। ফলে পারিপার্শ্বিক সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারটিও অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।

ধরুন, এক কম বয়সী দম্পতি সবেমাত্র নতুন এলাকায় বাসা নিয়েছেন। এই অবস্থায় নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হয়ে একটি আশ্রয়ের স্থান গড়ে তোলা খুব সহজ কিছু নয়। যদি নিজেদের সম্পর্কেও কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়, তাহলেও কিন্তু তাদের আশেপাশে থেকেই সমর্থন কিংবা পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে।

ব্যক্তিত্বের অসম্পূর্ণ বিকাশ

ব্যক্তিত্বের বিকাশ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া; বিয়ের মতো একটি সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে যার পথটা তেমন মসৃণ নাও হতে পারে। তারুণ্যেও নিজেকে চেনার, নিজের চাওয়া-পাওয়াকে বোঝার সফর চলতে থাকে। দায়িত্বশীল একটি সম্পর্কে থেকে এই সফর অনেকসময়ই খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে।

ধরুন, ক্যারিয়ার নিয়ে বোঝাপড়ার মাধ্যে দিয়েই একজন তরুণী বিয়ে করলেন। এই অবস্থায় তার হয়ত বৈবাহিক জীবনে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। একটা সময় তার মনে হতেই পারে, ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার আর কোনো সুযোগ নেই ও হয়তো খুব দ্রুতই তিনি তার বিয়ের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করবেন।

প্রাধান্যের পরিবর্তন

সময়ের সাথে আমাদের জীবনে প্রাধান্য বদলে যেতে থাকে। ৩০ কিংবা ৪০ এর ঘরে বয়স থাকতে যেসব বিষয় আমরা প্রাধান্য দিই, তা ২০ এর ঘরে যা প্রাধান্য দেই তার চেয়ে যথেষ্ট আলাদা হয়। কম বয়সে আমাদের প্রাধান্য কোনো জায়গায় স্থির তাকে না। এক্ষেত্রে যদি স্বামী-স্ত্রী ২ জনই একই সমান্তরালে না থাকেন, তবে তা সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলতে পারে।


>>>  পিরিয়ডে পেট ব্যথা দূর করতে যেসব খাবার খাবেন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :