ভোলার ইলিশাকে ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে আশা করছি। ইলিশা-১ এই মজুত গ্যাসের বাংলাদেশি টাকার বাজার মূল্য ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যদি আমদানিকৃত এলএনজির দর বিবেচনা করি তাহলে এই গ্যাসে মূল্য দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ ও খুব সৌভাগ্যের। ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় তিন টিসিএফ গ্যাস মজুত আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভোলা থেকে প্রায় ২৬-৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। সেখানে একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে, আরও একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে পাইপলাইনে দেওয়াও সম্ভব হবে।
বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ ইলিশা ১ অনুসন্ধান কূপের খনন কাজ শুরু করে গত ১৪ এপ্রিল কূপের তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন কাজ শেষে পৃথক নতুন একটি বাণিজ্যিকভাবে সফল গ্যাসের স্তর আবিষ্কৃত হয়। সার্বিক ভূতাত্ত্বিক এবং ভূপদার্থিক কারিগরি বিশ্লেষণ এবং ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করে ইলিশা কূপ স্থাপনাকে দেশের নতুন ২৯তম গ্যাস ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে বাপেক্স এর ভূতাত্ত্বিক বিভাগ মতামত প্রদান করে থাকে।
এছাড়া কূপের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডিএসটি কার্যক্রমের মাধ্যমে অপর স্তর দুইটি হতেও গড়ে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ফ্লো টেস্টে করা হয়েছে, যা আশাব্যাঞ্জক এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় নব দিগন্তের সূচনা করেছে বলে জানায় বাপেক্স।
ভোলাতে আগে থেকেই দুইটি গ্যাসক্ষেত্র ছিল। ইলিশাসহ এখন তিনটি গ্যাসক্ষেত্র হলো। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো, বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি এবং সর্বশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপটি।






