‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকে আটকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, নোবেলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর অভিযোগ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করা আছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, অনুষ্ঠানে না গিয়েও এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। গত ১৭ মে আদালত মামলা আকারে এজাহার গ্রহণ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সাথে মোট এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এরপর আজ আটক করা হলো নোবেলকে।
এর আগে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি এবং সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী নোবেলের মাতলামিতে নষ্ট হয়ে যায় অনুষ্ঠান। দর্শকরা তাকে লক্ষ্য করে জুতা এবং পানির বোতল নিক্ষেপ করে। গায়ক নোবেলের এমন কর্মকাণ্ড মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে ও এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সে সময় স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদ পানের কথা স্বীকার করে নোবেল বলেন, ‘স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। অতিরিক্ত মদ পান করার ধারেকাছে যাইনি।স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।’
এছাড়া মাদকে আসক্ত থাকায় নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তার সাবেক স্ত্রী সাল সাবিল। সাল সাবিল লিখেন, ‘আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার এবং নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা ও চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না ও বলে- নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি ।’
