হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরু বালির অভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চলতি অক্টোবরে টার্মিনাল উদ্বোধন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টার্মিনালের ঢালাইয়ের কাজে দুই দশমিক পাঁচ সিলেকশন গ্রেডের বালু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বালু দেশে একমাত্র নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতেই পাওয়া যায়। শুরু থেকেই সোমেশ্বরী নদীর এক নম্বর ঘাটের বালু দিয়েই টার্মিনালের কাজ চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মেট্রো রেল, ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ সরকারের সব মেগাপ্রকল্পের ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার্য বালুর একমাত্র উৎস সোমেশ্বরী নদীর এক নম্বর বালুমহাল। সরকারি আইন মেনে ওই বালুমহালের ইজারা সম্পন্ন করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ইজারামূল্য ৩১ কোটি টাকা বেশি পেয়েছে সরকার। বেশি ইজারামূল্য পাওয়ায় সরকারের অধিক রাজস্বও আয় হয়েছে। তারপর একটি চক্র নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনকে দিয়ে বালুঘাটের ওপর আপিল করে। এতে সোমেশ্বরী নদীর এক নম্বর বালুঘাটে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে অসহায় জীবন যাপন করছেন। বালুঘাটটি বন্ধ হওয়ায় তাদের উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ করে তাদের সংসার চালাতে হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল মহামান্য আদালত তিন দিনের ভেতর বালুঘাট বুঝিয়ে দেওয়ার পুনরায় আদেশ দেন। সেই সাথে এপিলেন্টকে মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ উৎসে করের বাকি পরিমাণ টাকা জমা দিতে আদেশ দেন। সেই আদেশে কার্যদিবসের কথা উল্লেখ ছিল না। কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ বাস্তবায়ন না করে ২৬ এপ্রিল অ্যাপিলেড ডিভিশনে দ্বারস্থ হয়ে ১৮ এপ্রিলের আদেশ স্থগিত রাখার প্রার্থনা করেন। সেই মোতাবেক ইজারাদার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ২ মে বাকি টাকা চালান মূলে জমা দিয়ে তা আদালতকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চালান যাচাইয়ের জন্য সময় নিয়ে থাকে। যদিও সরকারের ডিজিটাল সিস্টেমে অনলাইন চালান ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু রয়েছে।
ফলে মামলাটি দীর্ঘসূত্রতায় নিপতিত হয়। এরপর ৩ মে নেত্রকোনা জেলা কর্তৃপক্ষ ই-মেইলে ইজারাদারকে অচলপত্র প্রেরণ করে নতুন জটিলতার তৈর হয়ে থাকে। এতে বালুঘাট বন্ধ হয়ে পড়ে।







