গাজীপুর মহানগরীতে আরবি পড়াতে গিয়ে ছাত্রী রাবেয়া আক্তারের (২১) সাথে সুসম্পর্ক হয় সাইদুল ইসলামের। এরপর তারা মৌখিকভাবে বিয়ে করে। এই বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার। এরপর পরিকল্পনা করে রাবেয়াকে হত্যা করেন সাইদুল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে বুধবার (১০ মে) রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন বলেন, বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সাইদুলকে আরবি পড়াতে নিষেধ করে দিয়ে থাকে রাবেয়ার পরিবার। সেই সময় পরিবারের কথামতো সাইদুলকে এড়িয়ে চলা শুরু করে থাকে রাবেয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাইদুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬৫০ টাকা দিয়ে গরু জবাইয়ের ছুরি বানিয়ে নেন এই গৃহশিক্ষক। এরপর সেই ছুরি নিয়ে ৮ মে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে (২১) খুন করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই ছাত্রীর মা এবং দুই বোনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাবেয়া ২০২০ সালে জয়দেবপুরের একটি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর গাজীপুরের চৌরাস্তার একটি কলেজে স্মাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন রাবেয়া। পাশাপাশি তিনি আইইএলটিএস পড়ালেখার পাশাপাশি স্থানীয় একটি বিউটি প্রডাক্টস অনলাইন শপেও চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার সাইদুল চট্টগ্রামের একটি মাদরাসা থেকে দাওরা পাস করে গাজীপুরের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করার পাশাপাশি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এর পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন বাসাতে গিয়ে আরবি পড়াতেন।







