প্রিয়তমা’ ছবিটি সম্পর্কে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা আরও বছর পাঁচেক আগেই জেনেছিলেন। তখন ছবিটি প্রযোজনা করার কথা ছিল এসকে ফিল্মস এর। ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা শোনা গিয়েছিল শবনম বুবলীর। সময় গড়িয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও বদলেছে। নায়ক আর পরিচালক ঠিক থাকলেও বদলে গেছে নায়িকা। কদিন আগেও জানা গেল ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে শবনম বুবলী থাকছেন না। এটা যেমন চূড়ান্ত, তেমনি যিনি শাকিবের বিপরীতে থাকছেন, তিনিও চূড়ান্ত। শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ হতে আজ মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঢাকায় উড়ে এলেন সেখানকার সিরিয়ালের এক অভিনেত্রী ইধিকা পাল। শাকিব খানের সাথে গেল ঈদে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’–এর মতো সুপারহিট ছবির অংশ হয়েও ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে বুবলী না থাকায়, দুজনের সম্পর্কে ফাটলের ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাহলে কি শাকিবের বিপরীতে আর দেখা যাবে না বুবলীকে। এসব নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে কথা হয় শাকিবখান এর সাথে।
প্রশ্নঃ প্রিয়তমা’ ছবির ঘোষণা যখন আসে তখন শবনম বুবলীর অভিনয়ের কথা ছিল।এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছিলেন বুবলী। এখন দেখছি, কলকাতার অভিনয়শিল্পী দিয়ে ‘প্রিয়তমা’র কাজ শুরু হচ্ছে।
শাকিব খানঃ শুরুতে যখন ‘প্রিয়তমা’ নিয়ে আলাপ হয়েছিল, তখন গল্পের প্রয়োজনে একদম নতুন কাউকে দরকার ছিল, যে টুকটাক অভিনয় করেছে, কিন্তু ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। বুবলী তো গত কয়েক বছরে ডজনখানেকেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছে। তা ছাড়াও ছবির গল্পের সাথে বুবলীর বয়সও এখন কাভার করছে না। সব বিবেচনায় তাকে আর নেওয়া হয়নি।
প্রশ্নঃ ঘটনা কি শুধু তা–ই, নাকি আপনিই চাইছেন না?
শাকিব খানঃ এটা ঠিক, বুবলীর সঙ্গে আমি আর কোনো ছবিতে কাজ করব না, এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বুবলীকে আমার সাথে আর অনস্ক্রিন–অফস্ক্রিন কোথাও দেখা যাবে না। আপনারা যদি ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানটি দেখে থাকেন, তাহলে খেয়াল করবেন, একটা রোমান্টিক গান; তবে দুই শিল্পীর একটা দূরত্ব ছিল। কাছাকাছি দেখা যায়নি তাঁদের। আমার পুরো অভিনয়জীবনে এমনটা কখনো ঘটেনি। কারণ, আমি আর কোনো দিন বুবলীর সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে চাই না।
প্রশ্নঃ অনস্ক্রিন না হয় বুঝলাম। তাহলে অফস্ক্রিন বলতে কী বোঝাতে চাইছেন?
শাকিব খানঃ অফস্ক্রিন মানে পর্দার বাইরের জীবন। মানে, বাস্তবে জীবনে বুবলীর সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে, সেটাই বলতে চেয়েছি। তার জীবন তার, আমার জীবন আমার। সন্তানের কারণে আমাদের যা করণীয়, সেটাই হবে, দ্যাটস ইট। আবারও বলছি, তার সাথে আমার অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।
প্রশ্নঃকিন্তু আপনাদের তো একসাথে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনাদের সন্তান শেহজাদসহ একসঙ্গেও স্থিরচিত্র দেখা যায়।
উত্তরঃ আমার তো সন্তান আছে। শেহজাদ এখনো ছোট। সে মায়ের সাথে থাকে। শেহজাদ যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসে, তখন ন্যানির সঙ্গে মা–ও সঙ্গে আসে। তখন আমাদের হয়তো এক ছবিতে দেখা যায়। সন্তানের জন্য আমাদের দেখাসাক্ষাৎ হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার বড় সন্তান আব্রাহাম এখন একা আসতে পারে। স্কুল বন্ধ থাকলে আমার সাথে কয়েক দিন থাকেও। ওকে নিয়ে ঘুরতে যাই। শেহজাদেরও যখন একা থাকার বয়স হবে, তখন সে–ও ন্যানির সঙ্গে বা ন্যানিকে ছাড়াই একা একা আসবে। বাবার সাথে থাকবে। ঘুরবেও, বেড়াবে। দুই সন্তান বাবার সাথে ঘুরবে, বেড়াবে—এসব তো স্বাভাবিক নাকি? তাই এসব নিয়ে রংচং মাখিয়ে খবর প্রকাশের তো কিছু নেই। আমাদের সম্পর্ক যে নেই সে বিষয়টা তো অনেক আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছি। এসব নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কোনো কথা বলতে চাই না। আপনারাও আমাকে এসব নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।
