ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুনামগঞ্জে ঈদের জামাতে দু”পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

দৈনিক স্লোগান, দুর্ঘটনা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদ এর সামনে ঈদের জামায়াত কে কেন্দ্র করে দু”পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ২ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের মোট ২০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৬জনকে আটক করেছেন। নিহতের নাম মো. আবুল কাশেম (৩০)। তিনি মাইজখলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর সন্তান।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খালের পাড়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।

খবর পেয়ে দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এই সময় পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জাান যায় সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহ (৪৫)”র সাথে একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৫) এর কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় এবং দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে খালের পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ীর সামনের পতিত জমিনে উপর পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ২জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়।

এদের মধ্যে জালাল শাহ”র পক্ষের মো. আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ ডিজ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আজ বিকেলে আবুল কাশেম মারা যান। এছাড়াও উভয়পক্ষের আহতদেরকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ও পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে ১৬ জনকে আটক করেছে।

আহতরা হলেন- জালাল শাহ’র পক্ষের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে হানিফ মিয়া(৩৫),মো. সুমন মিয়া(২৫),হেলাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া(২০),শাহ নেওয়াজের ছেলে মরম শাহ(৩৫),মিলন মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া(২৫),মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে আয়াত আলী(৩২)।

>>>  ঢালারচর এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায়, তদন্ত কমিটি গঠন

এছাড়াও প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন আব্দুর রউফের ছেলে রনি মিয়া (২২),মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রউফ (৫০), আমিনুল হক (৩৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান (৩০) আঃ হাকিমের ছেলে অজুদ মিয়া (৩৮) পিতা-, মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নাফ, আব্দুর রশিদ (৬৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) প্রমুখ।

এই ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে ও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :