ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং

দৈনিক স্লোগান, আবহাওয়া




চলতি মাসের দুই সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রমজান মাসে এমন অবস্থার হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোজদার ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী এবং খেটে খাওয়া মানুষ। শিশু আর বৃদ্ধদের অবস্থা একেবারে কাহিল। 

দুপুর হলেই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। গরমে ভেজা কাপড় গায়ে জড়াচ্ছেন অনেকে। কখন বিদ্যুৎ আসবে সে খবরও জানা নেই কারো। বেড়ে গেছে হাতপাখার কদর। দোকান গুলোতে ভিড়লেগে গেছে তাল পাতার হাতপাখা বিক্রির। হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। দিনে এবং রাতে প্রায় ১০/১২ ঘন্টা থাকছে লোডশেডিং। লোডশেডিং থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা ঈফতার এবং সেহেরীর সময় টুকুও। 

গত (২ এপ্রিল) রবিবার থেকে এক টানা ১৫ দিন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল- রবিবার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবারে ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবারে ছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস, শুক্রবার তীব্র তাপদাহ ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বশেষ গত শনিবার অতি তীব্র তাপদাহ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী এবং রবিবার ৪২দশমিক ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। 

এরই মধ্যে শুক্রবার প্রচণ্ড ভ্যপসা গরমে যখন মানুষ হাঁসফাঁস করছে এমন সময় শুরু হয়েছে প্রচন্ড লোডশেডিং। (১৪ এপ্রিল) রাত থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিং দিনে রাতে ১০/১২ ঘণ্টা করে  হচ্ছে। ইফতার ও সেহেরির কিছু সময়ও পড়ছে লোডশেডিং-এর আওতায়। এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন রোজদারগণ।

>>>  তীব্র গরমে ফ্যান-এসি বিক্রির ধুম

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘এমন গরম আগে কখোনো দেখিনি, রোদ গরমে এনিতেই ঘরে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। বাইরে বেরুলে গা জ্বালা করছে। ফেন চালিয়ে কোনো মতে ঘরে থাকছিলাম তাও বিদ্যুৎ থাকছে না। কোথাও সস্তি পাচ্ছি না। ঘরে একটু স্বস্তিতে থাকবো, বিদ্যুৎ না থাকায় তাও পারছিনা। গাছ তলায় বসে থেকেও সস্তি নেই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :