ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জোরদার হচ্ছে চীন-রাশিয়া বন্ধন

দৈনিক শ্লোগান, আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাণিজ্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও সামরিক খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক ডজনেরও বেশি নথিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে মস্কো-বেইজিং বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করেছেন।

মঙ্গলবার ক্রেমলিনে কয়েক ঘন্টার শীর্ষ বৈঠকে দুই নেতা ইউক্রেইনের শান্তির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানায় রুশ গণমাধ্যম আরটি।

বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে পুতিন বলেছেন, “বিশ্ব শক্তিগুলো যারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং যাদের এই গ্রহের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে, তারা কীভাবে পরস্পরের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবে এটি তার একটি উদাহরণ।”

দু’জনের যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, রাশিয়া ও চীন ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত মিথস্ক্রিয়ার একটি নতুন যুগে প্রবেশের মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর’ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

তারা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক সহয়োগিতার মূল ক্ষেত্রগুলির জন্য একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি পুতিন এবং শি জি পিং পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কড়া সমালোচনাও করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের নেতার মস্কো সফরকে ক্রেমলিন তাদের প্রতি সবচেয়ে প্রভাবশালী বন্ধুর সমর্থন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও নানান অনুষ্ঠানে ছিল দুই দেশের মধ্যকার বর্তমানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রদর্শনী।  

শি আর পুতিন একে অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করেছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সাথে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘যে কোনো সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যৌথ ঘোষণায় তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করছে, নেটো তাদের এখতিয়ারে বাইরে গিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গিয়ে নাক গলাচ্ছে।

ইউক্রেইন নিয়ে শান্তি প্রস্তাব দেওয়ায় শি-র প্রশংসা করেছেন পুতিন; ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলো এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের দোষারোপ করছেন তিনি।

তবে শি ইউক্রেইন সংঘাত নিয়ে খুব কম মুখ খুলেছেন; জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ‘চীনের অবস্থান নিরপেক্ষ’।

>>>  আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ইন্দোনেশিয়ায় ১১ পর্বতরোহী নিহত

এই সফর শেষে বুধবার মস্কো ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

এ দুই বিশ্ব নেতার বৈঠক নিয়ে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস চীনের অবস্থান ‘মোটেও নিরপেক্ষ নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। রাশিয়াকে ইউক্রেইনের সার্বভৌম অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করানোসহ যুদ্ধ বন্ধে মস্কোকে চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বানও করেছে তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :