ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাকিব দেশের সম্পদ, তাকে ‘প্রটেক্ট’ করবে বিসিবি

দৈনিক স্লোগান, ক্রীড়াঙ্গন


ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করেই দুবাই উড়াল দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। উদ্দেশ্য ছিল একটি জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধন। সেই দোকানের মালিক আরাভ খান আবার ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি। যে কারণে কয়েক দিন ধরে চলছে ব্যাপক বিতর্ক সাকিবকে ঘিরে। এর মাঝেই দেশে ফিরে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সাকিব। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কবলে পড়তে হতে পারে।তাই  এই মুহূর্তে সাকিবকে নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি?

এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। যদিও তিনি সিরিজের মাঝে এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে একমত নন, ‘প্রথম কথা বলে নিই, আমি ইনফ্যাক্ট এটা নিয়ে এই সিরিজের মাঝখানে আলাপ করতে চাচ্ছি না। যেহেতু আপনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমি বলছি যে পুরো ব্যাপারটা কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখিছি, শুনেছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে। এটা নাকি এক দিনের ব্যবধানে এটা হয়েছে। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন আছেন তাদের জিজ্ঞেস করার। তাই এই সিরিজটা শেষ হোক, অবশ্যই এ ব্যাপারে আমরা জানতে চাইব।’

জালাল ইউনুস বলেন, ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি জানত না ইংল্যান্ড সিরিজের পর সাকিব ঠিক কোথায় এবং কোন কাজে যাচ্ছেন! তার ভাষায়, ‘আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশনস জানে না এই ব্যাপারটা। জেনারেলি গ্যাপের মাঝখানে একটা ছুটি ছিল। দুটো সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে অ্যাভেইল করেছে, ব্রেকটাকে অ্যাভেইল করেছে। ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে এটা আমরা আগেই জানতাম। কোথায় গেছে, কী করেছে বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট ছিল কি না এটা আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই দেখব। কিন্তু সিরিজের মাঝে কথা বলতে চাচ্ছি না।’

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে―এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই নেওয়া হবে। আমরা মনে করি সাকিব ইজ অ্যা ভেরি সেন্সেবল বয়। তার জ্ঞান আছে এইসব ব্যাপারে। কোথায় কী করতে হবে না করতে হবে সে খুব ভালো জানে। ব্যাপারটা কী ঘটেছে, সে জন্যই বললাম কেন ঘটেছে, কিভাবে ঘটল, কিভাবে ইনভলভমেন্ট হলো সেটা আমরা এখনও পর্যন্ত জানি না। কারণ এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে এটা নিয়ে এখনো আলাপ-আলোচনা করিনি। কারণ একটু আগে বললাম, এক দিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বোর্ডের সভাপতি ও সিইও বাইরে আছেন আইসিসি মিটিংয়ে। উনারা এলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব এবিসয়ে কী করা যায়। ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের এখানে কমিটি আছে, ডিসিপ্লিনারি। উনারা যদি মনে করেন এখানে কোনো কিছু আরো তদন্ত দরকার। উনারা দেখবেন। আমার মনে হয় একটু অপেক্ষা করা দরকার। এখন এগুলো নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।’

>>>  মুস্তাফিজকে বিদায় জানাল দিল্লি ক্যাপিটালস

জালাল ইউনুস আরো জানান, সাকিবের পাশে সবসময় আছে বিসিবি। তার ভাষায়, ‘এখানে ক্রিকেট অপারেশনস থেকে আমরা দেখব কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কী আছে তার। সেটা ভাঙা হয়েছে নাকি না। বাণিজ্যিক চুক্তি বোর্ডের ক্ল্যাশ করে নাকি না। যদি তেমন কিছু থাকে, ডিসিপ্লিনারিতে আমরা রেফার করতে পারি। এ জন্য বললাম কোনো কিছু না জেনে, সবার থেকে জিজ্ঞেস না করে, ব্যাপারটা পুরোপুরি তদন্ত না করে মন্তব্য ঠিক হবে না।’ সাকিবকে প্রটেক্ট করা হবে কি না―এমন প্রশ্নে তার জবাব, ‘অবশ্যই। কারণ সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির সম্পদ না,পুরো দেশের সম্পদ। তার দিকে লুক আফটার করা আমাদের দায়িত্ব।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :