ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পুঁজিবাজারে চলছে ‘বানরের বাঁশ চড়ার গল্প’

দৈনিক স্লোগান, অর্থনীতি

১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ফিরিয়ে আনা, আর ‘মার্চ থেকে পুঁজিবাজার ভালো হবে’ বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যানের বারবার আশাবাদের পর স্বস্তিকর একটি সপ্তাহ পার করে ফের একটি অস্বস্তিকর সপ্তাহ দেখল সাধারন বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সূচক বেড়ে শেষ হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিন্দুমাত্রও উচ্ছ্বাস নেই। এই সপ্তাহের পাঁচটি কর্মদিবসে দুই দিন সূচক সামান্য বাড়লেও বাকি তিন দিন ছিলো পতন ।

আগের সপ্তাহে সূচক বেড়েছিল প্রায় ৪৬ পয়েন্ট। বেড়েছিল বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর। তলানিতে নেমে আসা লেনদেনে দেখা গিয়েছিল ঊর্ধ্বগতি। এভাবে বাড়তে থাকলে বাজার আপন গতিতে ফিরবে, এমন কথাও বারবার বলাবলি হচ্ছিল।

ওই সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল সাড়ে ছয়শ কোটি টাকার মতো, যা তার আগের সপ্তাহে ছিল সাড়ে তিনশ কোটি টাকার কিছু বেশি।

গড় লেনদেন সাড়ে ছয়শ কোটি থেকে নেমে এসেছে ৫০৮ কোটি টাকায়, সেইসাথে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৩৯.৯৩ পয়েন্ট।

বেশিরভাগ শেয়ার রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে, এই পরিস্থিতিতেও বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার টাকা।

সেই সপ্তাহে মোট চার কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একদিন ছাড়া সূচক বাড়ে তিন দিনেই। এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সোয়া সাত শ কোটি টাকার লেনদেন দেখেছিল সাধারন বিনিয়োগকারীরা।

তবে গত রোববার একটি কোম্পানির ২০ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচকে ২৬ পয়েন্ট যোগ হলেও সামগ্রিকভাবে ২৫ পয়েন্ট হারিয়ে শুরু হয় সপ্তাহ। পরের কর্মদিবসে পতনের ধাক্কা সামলে সূচক বেড়েছিল প্রায় আট পয়েন্ট।

এর পরের দুই দিনেই ফের দরপতন দেখেছে বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার ১১ পয়েন্টের পর বুধবার পড়ে ১৮ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার শুরুতেই ছয় পয়েন্ট হারালেও শেষ পর্যন্ত ছয় পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।

এই গোটা সপ্তাহেও ‘ফ্লোর প্রাইস’ ভাঙতে পারেনি দুই শতাধিক কোম্পানি। ‘ফ্লোরের’ চেয়ে বেশি দর, এমন কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে সিংহভাগ, বেড়েছে হাতে গোনা কয়েকটি।

>>>  'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য উৎপাদনকে নতুন সংকটে ফেলেছে'

এমনকি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের শেয়ার পর প্রথমবারের মতো নগদের পাশাপাশি ৬০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর রোববার ইউনিভিলার কনজিউমার যে চমক দেখিয়েছিল, ধরে রাখতে পারেনি সেই কম্পানিও।

সেদিন ২০.১৭ শতাংশ বা ৫৭৪ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে দর দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৪২৩ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু সেদিন যারা শেয়ার কিনেছেন, তাদের সবার মাথায় হাত পরে। কারণ পরপর চার দিনেই শেয়ারের দর কমে নেমেছে ২ হাজার ৯৮৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের দর হারায় ১৭১ টাকা ১০ পয়সা, পরের দিন কমে ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার আরও ১০৬ টাকা ৯০ পয়সার পর বৃহস্পতিবার কমল আরও ১০৩ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ চার দিনে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৩৬ টাকা ১০ পয়সা।

এটি অবশ্য পুঁজিবাজারের সামগ্রিক চিত্রের মতোই বলা যায়। প্রায়ই বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার হঠাৎ লাফ দেয়। কদিন বাড়লেই সাথে সাথেই দেখা যায় বিপরীত চিত্রও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :