যে সংস্করণে অবস্থান সবচেয়ে নড়বড়ে, সেই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব জয়ী ইংল্যান্ড কে বিপক্ষে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। স্মরণীয় এই সিরিজ জয়টা করেছে দাপটের সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি রেখে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ জিতলেই ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ দেবে বাংলাদেশ। ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান কিংবা শামীম চৌধুরীর মুখে হয়তো আবারও শোনা যাবে ‘বাংলাওয়াশ’ নামের শব্দটি।
২০১০ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে নস্ট হয়ে গিয়েছিল। বাকি চার ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটিকে হোয়াইটওয়াশ ধরে নিয়ে ‘বাংলাওয়াশ’ কথাটির প্রচলন হয়েছে। এর আগে-পরেও প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে কেনিয়ার হাত দিয়েই, সর্বশেষ গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতও হয়েছে এর শিকার।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, তিন সংস্করণ মিলিয়ে একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে প্রতিপক্ষকে এখন পর্যন্ত মোট ২২ বার ধবলধোলাই করেছে টিম বাংলাদেশ। ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে, ওয়ানডেতে বরাবরই সমীহ জাগানিয়া বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে এই সংস্করণেই সর্বোচ্চ ১৬ বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে লাল-সবুজের এই প্রতিনিধিরা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুই সংস্করণ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ৩ বার। ২২ বার ধবলধোলাইয়ের মধ্যে ১৫টি হয়েছে দেশে, ৭টি হয়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে।
ওয়ানডেতে ১৬ বারের মধ্যে সর্বাধিক ৬ বার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ বার, নিউজিল্যান্ড ও কেনিয়া ২ বার করে এবং আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তান একবার করে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।








