ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলেন ফখরুল-আব্বাস

পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় চতুর্থ দফায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়। আদালত শুনানির জন্য বিকেলে ৩টায় সময় নির্ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।

তৃতীয় দফায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর এ আবেদন করেছেন তাদের আইনজীবী।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম জামিন আবেদন করেছেন।

আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন ও জাকির হোসেন জুয়েল।

আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জাগো নিউজকে বলেন, তৃতীয় দফায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিন আবেদন করেছি। আদালত শুনানির জন্য আজ বিকেল ৩টার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আশা করছি আজ তাদের জামিন মঞ্জুর করবেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এরও আগে গত ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

>>>  একই মঞ্চে উন্মোচিত হলো জগন্নাথের চার শিক্ষার্থীর বই

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। এদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল জামিনে রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :