ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শীত মওসুমে শরীর ও ত্বকের যত্ন নিতে যা-কিছু খাবেন

ঋতু পরিবর্তনের দরুন প্রকৃতিতে জেঁকে বসছে শীত। কদিন পরেই হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়বে জনজীবন। এই সময়টাতে শরীর ও ত্বকের যত্নে খাবার-দাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। রুটিনমাফিক খাবার না খেলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ শীত মওসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

শীতকালীন খাবার-দাবার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারবাল বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি।
শীতে খাওয়ার রুটিন ঠিকঠাক না মেনে চললে একদিকে যেমন শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে তেমনি ত্বকও অনুজ্জ্বল হয়ে যাবে। তাই ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নজর দিতে হবে ডায়েটে।

শীতে যা কিছু করনীয় –

১) শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকলেই ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখা সম্ভব। শীতের শুরুর দিকে ও শেষের সময়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, ঠাণ্ডার প্রভাবে পানি পানের প্রবণতা কমে যায়। এই সময় বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন। তাই হালকা কুসুম গরম পানি পান করবেন। মাঝে মাঝে ডাবের পানি, ফলের রসও পান করা যেতে পারে। সারাদিনে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, গরম দুধ, দুধ ছাড়া চা, তিন-চার ফোঁটা লেবুর রস। এটি পানির সাথে সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ ও করবে। কেননা শীতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে।

২) বিভিন্ন মৌসুমি ফল যেমন কমলালেবু, আপেল, মাল্টা ইত্যাদি নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি যথেষ্ট পরিমাণে খেতে হবে । এগুলোর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা বজায় রাখে এবং খাদ্য হজমেও সহয়তা করে। শরীরের নিস্তেজ ঝিঁমানোভাব কাটায়। টাটকা ফল ও সবজিতে রয়েছে বায়োটিন যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সহায়ক। তাই সতেজ সবজি ও ফল খাওয়া জরুরি। প্রসেসড বা ফ্রোজেন ফুডের বদলে সতেজ ফুড খাওয়ার চেষ্টা করুন।

শীতকালীন সবজি

৩) শীতে ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠে । ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন হয় ফ্যাটি এসিডের । তাই বাদাম, মাছ, কলা এই ধরনের খাবার বেশি করে খান এবং ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলুন। এই সময়ের নানা ধরনের ফল ও সবুজ সবজি দিয়ে সালাদ তৈরি করে খান। প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে এবং সেই সাথে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

>>>  রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে ভাটিয়ারীতে শেখ হাসিনা

৪) শীতের সময় বিভিন্ন দাওয়াতের অনুষ্ঠান থাকে এবং প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়। তাই শরীরে ক্যালরির পরিমাণ ও বেড়ে যায়। সেজন্য শীতে দুধ দিয়ে তৈরি চা ও কফি না খেয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার তালিকা থেকে বিদায় করুন। এই ধরনের খাবারের পরিবর্তে সালাদ খান সেই সাথে চাইলে অলিভওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে যা হার্টের জন্য খুবই ভালো। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ভাত ও রুটি কম পরিমানে খান। প্রচুর, পানিও ফল ও সবজি দিয়ে সালাদ বানিয়ে খান।

৫) শীতকালে যেহেতুক বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা বেড়ে যায়, তাই শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ কিছু হার্বসের সাহায্য নিতে পারেন। এগুলো সর্দি-কাশি ও ঋতু পরিবর্তনের অন্যান্য অসুখ প্রতিরোধ করতে বেশ সাহায়ক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে তুলসী অনেকটা কার্যকরী। তুলসীতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও ইউজিনল। বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে ও ইউজিনল ব্যাকটেরিয়া দূর করে। প্রতিদিন রঙচায়ের সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা মিশিয়ে খান দেখবেন শরীর সুস্থ হয়ে গেছে। গলায় খুসখুসানি হলেও তুলসী ভীষণ কাজে আসে। স্যুপ, সালাদ বা পাস্তার সঙ্গে তুলসী পাতা কুচি করে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে গলার অস্বস্তিভাব কেটে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :